ভিনরাজ্য থেকে ফিরেছেন এঁরা। পৌঁছে গেলেন প্রশাসনের আধিকারিকরা। ক্যানিংয়ের তালদিতে। ছবি: প্রসেনজিৎ সাহা
অভিযোগ আসছিল বিদেশ বা ভিন রাজ্য থেকে গ্রামে ফিরে আসা মানুষগুলি সরকারি নির্দেশ কোনও ভাবেই মানছেন না। এ বার বিদেশ বা ভিন রাজ্য থেকে আসা মানুষগুলিকে নজরবন্দি করতে উদ্যোগী হল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার শহরতলি লাগোয়া এলাকায় ভাঙড়, কাশীপুর, সোনারপুর, বারুইপুর, বিষ্ণুপুর সহ সমস্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন থানা এলাকায় দিল্লি, চেন্নাই থেকে যাঁরা গ্রামের বাড়িতে ফিরেছেন তাঁদের চিহ্নিত করে এবং নজরবন্দি করতে বাড়ির সামনে পাহারায় বসানো হয়েছে পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়ারদের।করোনাভাইরাস মোকাবিলায় এতদিন দেশ বিদেশ থেকে যে সমস্ত মানুষ নিজের বাড়িতে ফিরছিলেন তাঁদের তথ্য সংগ্রহ করার জন্য ব্লক প্রশাসন পঞ্চায়েত, আশাকর্মী, স্বাস্থ্যকর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করার পাশাপাশি তাঁদের সচেতন করছিলেন। তাঁরা যাতে ১৪ দিন পর্যন্ত বাড়ির বাইরে বের না হন সেই আবেদনও করা হচ্ছিল। এই ১৪ দিন তাঁরা যাতে ‘অবজারভেশনে’ থাকেন, সে কথাও বলা হয়। এ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর্মীরা তাঁদের কাছে গিয়ে প্রতিদিন স্বাস্থ্যের খোঁজ নেবেন এবং কারও শরীর খারাপ হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। কিন্তু তারপরেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে অভিযোগ উঠছিল, বিদেশ বা ভিন রাজ্য থেকে আসা ওই সব মানুষ কোনও কিছুর তোয়াক্কা না করে সর্বত্র ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এর ফলে করোনাভাইরাস মোকাবিলা নিয়েই নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। শুধু তাই নয় এই সময় দেশ-বিদেশ থেকে নিজের বাড়িতে ফিরে আসা বহু মানুষের সঠিক তথ্য প্রশাসনের কাছে ঠিকমতো পৌঁছাচ্ছিল না। ওই পরিস্থিতি মোকাবিলায় একেবারে তৃণমূল স্তর থেকে সংগঠিত ভাবে সব কিছু করতে উদ্যোগী হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এবং প্রতিটি বাড়ি থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে আশা, অঙ্গনওয়াড়ি, স্বাস্থ্যকর্মী, ভিলেজ রিসোর্স পার্সন (ভিআরপি), আবাস বন্ধু, পঞ্চায়েত প্রধান, উপপ্রধান, পঞ্চায়েত সদস্য, বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠী-সহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মী, ইমাম-মুয়াজ্জিন ও ধর্মগুরুদের কাজে লাগানো হচ্ছে। তাঁদের ব্যক্তিগত সর্ম্পকের ভিত্তিতে প্রতিটি বাড়ি থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। পাশাপাশি পুলিশ, ব্লক প্রশাসন,স্বাস্থ্য দফতর পুরো বিষয়টি নজরদারি করবে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা শাসক পি উলগানাথন বলেন, ‘‘জেলা সদরে মেগা কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সেখানে পাঁচটি ল্যান্ড-লাইনের নম্বর দেওয়া হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy