Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus in West Bengal

একদিনে আক্রান্ত তিনশো

জেলায় দৈনিক আক্রান্তের গ্রাফটা গত এক সপ্তাহ ধরে কার্যত উর্ধবমুখী।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বারুইপুর শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০২০ ০৩:৪৩
Share: Save:

একদিনে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় করোনা আক্রান্ত হলেন তিনশোর বেশি মানুষ। স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রবিবার জেলাজুড়ে মোট ৩০৬ জন নতুন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। এখনও পর্যন্ত একদিনে এতজন আক্রান্ত হওয়ার নজির নেই। সে দিক থেকে দেখলে জেলায় দৈনিক আক্রান্তের নিরিখে এই সংখ্যা রেকর্ড। তবে এতে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই বলেই মনে করছেন স্বাস্থ্য কর্তারা।

জেলায় দৈনিক আক্রান্তের গ্রাফটা গত এক সপ্তাহ ধরে কার্যত উর্ধবমুখী। গত সোমবার মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৪৪ জন। মঙ্গলবারই সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়ায় ২৩৩। বুধবার আক্রান্তের সংখ্যা বেশ কিছুটা কমলেও, বৃহস্পতিবারই দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা আড়াইশোর গণ্ডি টপকে যায়। আক্রান্ত হন ২৬১ জন। সে দিনই জেলায় মৃত্যু হয় ৬ জনের। যা গত বেশ কয়েক দিনের মধ্যে সব থেকে বেশি। জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা একশো ছোঁয় সে দিন। এরপরে দু’দিন আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কমলেও দু’শোর উপরেই ছিল। তবে রবিবার এক ধাক্কায় তা তিনশো টপকে যায়। পরিসংখ্যান বলছে, মোট আক্রান্তের সংখ্যা এই মূহূর্তে সাত হাজার ছুইঁ ছুঁই। মৃত্যু হয়েছে ১১৪ জনের। উত্তর ২৪ পরগনায় মোট আক্রান্ত ২০ হাজার ছাড়িয়েছে ইতিমধ্যেই। দৈনিক আক্রান্ত হচ্ছেন পাঁচশোরও বেশি মানুষ। কলকাতার পরিস্থিতিও বেশ খারাপ। সে দিক থেকে দেখলে লাগোয়া দক্ষিণ ২৪ পরগনার পরিসংখ্যান কিছুটা স্বস্তিদায়ক। তবে একদিনে তিনশোর বেশি আক্রান্ত হওয়ার খবরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে মানুষের মধ্যে।

স্বাস্থ্য কর্তারা অবশ্য বলছেন, পরীক্ষা বাড়ার ফলেই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। সপ্তাহখানেক হল জেলা জুড়ে অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু হয়েছে। পাশাপাশি লালারস পরীক্ষার সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। ব্লক হাসপাতালগুলিতে দিন কয়েক আগেও সপ্তাহে একদিন করে লালারস সংগ্রহ করা হচ্ছিল। সেখানে এখন তিন-চারদিন করে লালারস সংগ্রহের কাজ হচ্ছে। দ্রুত তা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলেই জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর। চলতি সপ্তাহ থেকেই অনেক জায়গায় সপ্তাহে প্রতিদিনই লালারস সংগ্রহ হবে।

দক্ষিণ ২৪ পরগনা স্বাস্থ্য জেলার সিএমওইচ সোমনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, “পরীক্ষার সংখ্যা বেড়েছে। সেই সঙ্গে অ্যান্টিজেন টেস্টও শুরু হয়েছে। তাই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়াটা অস্বাভাবিক নয়। আগামী কয়েক দিনে সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। করোনার সঙ্গে লড়াইয়ে আমরা ঠিক পথেই এগোচ্ছি। নতুন নতুন সেফ হোম তৈরি হচ্ছে। চিকিসা পরিষেবা বাড়ছে। আরও বেশি পরীক্ষা এবং আক্রান্তদের চিকিসা, এভাবেই ভাইরাসের চেনটা ভাঙা সম্ভব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus in West Bengal South 24 Parganas
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE