Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus

ধৈর্য রাখত পারছে না জনতা, লকডাউনে বাড়ছে ভিড়

ক্যানিংয়ে মঙ্গলবার বিকেল থেকেই বহু মানুষকে রাস্তায় বেরিয়ে পড়তে দেখা গিয়েছিল। চায়ের দোকানগুলিও একে একে খুলতে শুরু করেছে।

 আড্ডা: চায়ের দোকানে। ভাঙড়ের কাশীপুরে। নিজস্ব চিত্র

আড্ডা: চায়ের দোকানে। ভাঙড়ের কাশীপুরে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০২০ ০৬:১৮
Share: Save:

দিন যত যাচ্ছে, লকডাউন নিয়ে ক্রমেই অধৈর্য হচ্ছে জনতার একাংশ। ফলে কোথাও কোথাও জমছে ভিড়। কোথাও কোথাও চলছে আড্ডা। খুলতে শুরু করেছে বহু দোকানপাট। চালু হচ্ছে ছোট যানবাহন। করোনা-আক্রান্তের সংখ্যাবৃদ্ধি রুখতে লকডাউনের বিকল্প নেই— এ কথা বার বার প্রচার করা হলেও বহু ক্ষেত্রে ভাঙছে শৃঙ্খলা।

ক্যানিংয়ে মঙ্গলবার বিকেল থেকেই বহু মানুষকে রাস্তায় বেরিয়ে পড়তে দেখা গিয়েছিল। চায়ের দোকানগুলিও একে একে খুলতে শুরু করেছে। সেখানে আড্ডা বসছে দু’বেলা। বুধবার সকালে ক্যানিংয়ের নিকারিঘাটা, হাসপাতাল মোড়, রায়বাঘিনি মোড় এলাকায় চায়ের দোকানে ভিড় ছিল। বিকেল হতেই মাঠও ভরে গেল ছেলেদের ভিড়ে। জমায়েত বন্ধ করতে গিয়ে ঝামেলা মুখোমুখি পর্যন্ত হতে হচ্ছে পুলিশ কর্মীদের। বুধবার সকালে ভাঙড়ের কৃষ্ণমাটির ঘোলাবাজারে মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রশাসনের তরফ থেকে বিভিন্ন বাজারে দূরত্ব বজায় রাখার জন্য দাগ কেটে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ জায়গাতেই তা মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ।

ডায়মন্ড হারবার, সরিষা, নুরপুর, মগরাহাট, উস্তি, কুলপি-সহ বিভিন্ন এলাকার বুধবারের রাস্তার ছবি দেখে মনেই হবে না যে, লকডাউন চলছে। বাজারে মানুষের ভিড়, রাস্তাঘাটে অটো-টোটোর দাপট শুরু হয়েছে আগের মতোই। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের প্রশ্ন, লকডাউন ঘোষণার পরে পরেই পুলিশ যে ভাবে তৎপর ছিল, তা উধাও হয়ে গেল কেন? ডায়মন্ড হারবারের মহকুমাশাসক সুকান্ত সাহা বলেন, “প্রতি দিন বিভিন্ন বাজারে গিয়ে হাতজোড় করে অনুনয়-বিনয় করা হচ্ছে। তারপরেও মানুষের হুঁশ ফিরছে না।”

কিছু মানুষ অব্শ্য বাজারে নির্দিষ্ট দুরত্ব মেনে কেনাকাটা করছেন। কাকদ্বীপ শহরতলি এলাকায় একাধিক জায়গায় চোখে পড়েছে এই ছবি। তবে গ্রামীণ এলাকায় কিছু কিছু বাজারে লাগামছাড়া ভিড় ছিল।

বুধবার সকালে ব্যারাকপুর শহরের রাস্তায় কার্যত জনজোয়ার শুরু হয়েছিল। বাজার বসার জন্য চন্দনপুকুর বাজারের রাস্তায় যানজট শুরু হয়ে। লকডাউনের পর থেকে যানবাহন বন্ধ, মানুষও কম ছিল রাস্তায়। তার ফলে যানজটের সেই ছবিটাই উধাও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বুধবার ফের আগের চেনা ছবি। সচেতন নাগরিকদের একাংশ এ সবের জেরে আতঙ্কিত।

হাসনাবাদ, হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি, ন্যাজাট সহ বিভিন্ন থানা এলাকার বিভিন্ন বাজারে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হলেও বেশ কিছু বাজারে এখনও রোজ মানুষের ভিড় হচ্ছে। হাসনাবাদের চকপাটলি বাজারে দেখা গেল, বন্ধ চা-দোকানের সামনে ফ্লাস্কে করে চা বিক্রি করছেন দোকানি। সেখানে ভিড়ও দেদার। বেলা ১২টা নাগাদ হাসনাবাদ রেল স্টেশনের পাশের পুকুরপাড়ে স্থানীয় যুবকেরা গা ঘেঁষাঘেষি করে আড্ডা দিচ্ছিলেন। বুধবার সকালে বসিরহাটের রাস্তায় দেদার লোক বেরিয়ে পড়ে। বাইক-টোটোর দাপট ছিল লকডাউন শুরু হওয়ার আগের মতোই। এক পুলিশ অফিসারের কথায়, “আমজনতা সচেতন না হলে এত মানুষকে জোর করে বাড়িতে আটকে রাখা অসম্ভব।”

অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health Coronavirus Lockdown
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE