শোকার্ত: আবিদার পরিবার
কুলতলিতে জোড়া খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার বারুইপুর আদালত চত্বরে বিক্ষোভ দেখাল একটি মানবাধিকার সংগঠন। মৃত দুই মহিলার পরিবারের লোকজনও এ দিন হাজির ছিলেন আদালত চত্বরে। ২৩ জানুয়ারি রাতে এবং ২৪ জানুয়ারি ভোরে কুলতলির ডোঙাজোড়ায় পিয়ালি নদীর চর থেকে পর পর দুই মহিলার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, মুস্তারি বিবি এবং আবিদা খাতুন নামে দুই মহিলাকে খুন করা হয়েছে। ক্যানিংয়ের উত্তর বুদোখালির বাসিন্দা মিজানুর মণ্ডলের সঙ্গে বছর চারেক আগে বিয়ে হয়েছিল মুস্তারির। পরে তাঁদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। মুস্তারিকে নিয়মিত খোরপোষ দিতে হত মিজানুরকে। তদন্তকারীরা জানান, সেই খোরপোষ দেওয়া থেকে মুক্তি পেতেই মুস্তারিকে খুনের পরিকল্পনা করে মিজানুর। অভিযোগ, ২৩ তারিখ পিয়ালি নদীর ধারে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয় মুস্তারিকে। সঙ্গে ছিলেন বোন আবিদা। প্রমাণ লোপাট করতে তাঁকেও খুন করা হয়। এই ঘটনায় মিজানুর-সহ কয়েক জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ হেফাজত শেষে এ দিন মিজানুরকে আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাকে জেল হেফাজতে পাঠিয়েছেন। আদালত চত্বরে বিক্ষোভ দেখান মানবাধিকার সংগঠনের সদস্যেরা। আবিদার দাদা নজরুল মোল্লা কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘‘আমি শারীরিক ভাবে প্রতিবন্ধী। মায়েরও বয়স হয়েছে। বোনই সংসার চালাত।’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy