হাসপাতালে খাদ্যমন্ত্রী। নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসে ফের প্রকাশ্যে এল দলীয় কোন্দল। যার জেরে শাসকদলেরই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকে পেটানোর অভিযোগ উঠল পঞ্চায়েত প্রধান ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে।
রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে দত্তপুকুর থানার পশ্চিম খিলকাপুর পঞ্চায়েত এলাকার চক বড়বড়িয়া এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রহৃত বারাসত ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূলের হালিমা বিবি চিকিৎসাধীন।
পুলিশ ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে ওই এলাকায় তৃণমূলের কার্যালয়ে দলীয় পাতাকা তোলেন হালিমা বিবি। অভিযোগ, তার কিছুক্ষণ পরে তার পাশেই দলীয় পতাকা উত্তোলন করে স্থানীয় পশ্চিম খিলকাপুর পঞ্চায়েত প্রধান তৃণমূলের মানোয়ার আলি। পাশাপাশি পতাকা তোলা নিয়ে হালিমা আপত্তি জানান। এরপরেই মনোয়ারের নির্দেশে তাঁর লোকজন হালিমাকে মারধর করে বলে অভিযোগ। হালিমা বলেন, ‘‘আমার পোশাক ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে। বাঁশ দিয়ে মারা হয়েছে।’’
দলীয় কর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে বারাসত জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। এরপরেই হালিমা দত্তপুকুর থানায় মানোয়ার-সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। বারাসত হাসপাতালে হালিমাকে দেখতে আসেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার।
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে মনোয়ার। তাঁর কথায়, ‘‘স্থানীয় এক পঞ্চায়েত সদস্যের অনুরোধে আমি ওই এলাকায় গিয়ে পতাকা তুলেই চলে আসি। পাঁচ মিনিটও ছিলাম না। এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।’’
দলের জেলা সভাপতি তথা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দলীয় ভাবে কড়া পদক্ষেপ করা হচ্ছে। পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি পুলিশ যা করার করবে। পুলিশের কাজে দল হস্তক্ষেপ করবে না।’’ ইতিমধ্যেই মানোয়ারকে শোকজ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
জ্যোতিপ্রিয়বাবুর দাবি, বিষয়টি দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীকে জানানো হয়েছে। দলের মধ্যে কোন্দল দল কোনও ভাবেই মেনে নেবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy