—প্রতীকী ছবি।
ভুয়ো ভোটার সন্দেহে দুই যুবককে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আটক করা হয়েছে হয়েছে তাদের। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে জীবনতলার গাঁথি নবপল্লি গ্রামে। রবিবার এই এলাকার ৫৬ নম্বর বুথে বহিরাগত ওই দুই যুবক ভোট দেওয়ার নাম করে বুথে ঢুকেছিলেন বলে অভিযোগ স্থানীয় লোকজনের। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের একজন নিউ টাউন এবং অন্যজন মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা।
এই দুই যুবক কী ভাবে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ঢুকে পড়লেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় মানুষজন। তবে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব ভুয়ো পরিচয়পত্র বানিয়ে বহিরাগতদের এলাকায় ঢুকিয়েছে বলেই অভিযোগ তোলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন বেলা ১২টা নাগাদ বাঁশড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নবপল্লি গ্রামে সন্দেহভাজন দুই যুবককে বুথে ভোট দিতে দেখে ধরে ফেলেন স্থানীয় লোকজন। তাদের আগে কোনও দিন এই এলাকায় দেখা যায়নি, সে কারণে সন্দেহ বাড়ে। ওই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলে পালানোর চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। তাড়া করে ধরে ফেলা হয় তাদের। কথাবার্তায় অসঙ্গতি ধরা পড়ায় শুরু হয় মারধর। গ্রামবাসীদের দাবি, দুই যুবক স্বীকার করেন, মুর্শিদাবাদ ও নিউ টাউন এলাকা থেকে তারা এই এলাকায় ভোট দিতে এসেছিল।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। পরে পুলিশ এসে অভিযুক্তদের আটক করে নিয়ে যায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।
স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, বিজেপির লোকেরাই এই ভুয়ো ভোটারদের এলাকায় ঢুকিয়েছে। তৃণমূল নেতা মুজিবর সর্দার বলেন, “বুথের মধ্যে অপরিচিত দুই যুবককে দেখে এলাকার মানুষের সন্দেহ হলে তারা ধরে ফেলে।’’
তৃণমূলের অভিযোগ অস্বীকার করে দক্ষিণ ২৪ পরগনা (পূর্ব) জেলা বিজেপি সভাপতি সুনীপ দাস বলেন, “বিজেপিকে অপদস্থ করার জন্য তৃণমূলই এমনটা করেছে। বিজেপি এই ধরনের নোংরা রাজনীতি করে না। পুলিশ ভাল করে তদন্ত করলে সত্য সামনে আসবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy