কেটে ফেলা হয়েছে গাছ।
রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য কাটা হচ্ছে গাছ। তার প্রতিবাদে বুধবার সকালে দেগঙ্গার মিছিল করল গাছপ্রেমীরা। কিন্তু এ সব উন্নয়নে বাধা বলে পাল্টা দাবি করেন এলাকার বাসিন্দারা।
টাকি রোডের সম্প্রসারণের জন্য বারাসত থেকে বেড়াচাঁপা পর্যন্ত চলছে গাছ কাটা। তার প্রতিবাদেই এ দিন দেগঙ্গার মানুষ কার্তিকপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে দেগঙ্গা থানা পর্যন্ত পোস্টার নিয়ে মিছিল করেন। যোগ দেন মহিলারাও।
এ দিন দেগঙ্গার কার্তিকপুর-টাকি রোডের ধারেও গাছ কাটা চলছিল। সে সময় টাকি রোড গাছ বাঁচাও কমিটির মিছিল থেকে কয়েকজন গিয়ে গাছ কাটার অনুমতি পত্র দেখতে চান। অনুমতিপত্রে গাছ কাটার দিন পার হয়ে গিয়েছে। তারপর কেন গাছ কাটা হচ্ছে, তা প্রশ্ন করাতে এড়িয়ে যান গাছ কাটতে আসা লোকজনেরা। পরে আন্দোলনকারীরা গাছ কাটা বন্ধ করে দেন।
থানার সামনে বিক্ষোভ।
যশোর রোডের দু’ধারে প্রাচীন গাছ কাটা রুখতে তৈরি হয় ‘যশোর রোড গাছ বাঁচাও কমিটি।’ তাতে যোগ দেন যশোর রোডের স্থানীয় মানুষও। বারাসত থেকে বনগাঁ পায়ে হেঁটে সবুজকে বাঁচিয়ে রাখার স্লোগান ওঠে। কলকাতার হাইকোর্টে গাছ কাটা বন্ধের দাবিতে মামলা দায়ের করা হয়। অবশেষে বিচারপতি যশোর রোডের গাছ কাটা স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন। টাকি রোড গাছ বাঁচাও কমিটির দাবি, গাছ বাঁচিয়ে রাস্তা সম্প্রসারণ করা হোক।
কিন্তু বাসিন্দাদের একাংশ এই মিছিলের বিরুদ্ধে। তাঁদের মতে, যাঁরা আন্দোলন করছেন তাঁরা এই রাস্তা দিয়ে রোজ যাতায়াত করেন না। এই রাস্তায় এমনই যানজট হয় যে, পরীক্ষার সময় ছাত্রছাত্রীদের কম করে দেড় ঘণ্টা আগে বেরোতে হয়। অফিস যাত্রীরা সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছনোর জন্য অনেক আগেই বাড়ি থেকে বের হন। হাসপাতালে রোগীকে নিয়ে যেতে নাজেহাল হয়ে যাচ্ছেন মানুষ। রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ হওয়ায় খুশি স্থানীয় মানুষ। তাঁদের দাবি, রাস্তা সম্প্রসারণে হোক, নিয়ম মেনে গাছ লাগানো হোক অন্যত্র। সে কারণে এই মিছিলের প্রতিবাদে তাঁরা আবার বৃহস্পতিবার থেকে পাল্টা মিছেলের ডাক দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy