প্রতীকী ছবি
ট্রেনের সিগন্যাল, ইন্টারলকিং কিংবা মোবাইল টাওয়ারের জন্য ব্যবহার করা হয় এক বিশেষ ধরনের ব্যাটারি। বেশ কিছু দিন ধরে বিভিন্ন রেল স্টেশনের সিগন্যাল প্যানেল রুম কিংবা স্টোর রুম থেকে চুরি হয়ে যাচ্ছিল ওই সমস্ত দামি ব্যাটারি। এর ফলে সিগন্যাল বিগড়ে যে কোনও সময়ে ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ফলে সব মিলিয়ে রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছিল রেল পুলিশের।
পরপর ব্যাটারি চুরির তদন্তে নেমে লাগাতার তল্লাশি চালিয়ে শুক্রবার রাতে দু’জনকে গ্রেফতার করল দেগঙ্গা থানার পুলিশ। তাদের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ২৫টি চোরাই ব্যাটারি। ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, এই ঘটনায় যুক্ত রয়েছে আন্তঃরাজ্য পাচারকারীদের একটি চক্র। গোটা চক্রের হদিস পেতে রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি শনিবার বিভিন্ন স্টেশনে তল্লাশিতে নামে রেল পুলিশও।
রেল পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২ জুন রাতে বারাসত-হাসনাবাদ শাখার হাড়োয়া রোড স্টেশনের সিগন্যাল প্যানেল রুমের পাশে রেলের স্টোর রুমের তালা ভেঙে চুরি করা হয় ৪৪টি দামি ব্যাটারি। সেই সমস্ত ব্যাটারিই রেলের সিগন্যাল ও ইন্টারলকিং ব্যবস্থা পরিচালনায় ব্যবহার করা হত।
এই ঘটনায় রেল পুলিশের পাশাপাশি চাপে পড়ে যায় স্থানীয় দেগঙ্গা থানাও। তদন্তে নেমে দেগঙ্গার কলসুরের রানিহাটি থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে মনিরুল মণ্ডল ও নজরুল মণ্ডল নামে দুই ব্যক্তিকে। শনিবার অভিযুক্তদের বারাসত আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের পুলিশি হেফাজতে পাঠান। ধৃতদের জেরা করে বাকি অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।
ব্যাটারি উদ্ধারের খবর পেয়ে এ দিন দুপুরে রেল পুলিশের আধিকারিকেরা আসেন দেগঙ্গা থানায়। সেখান থেকে যান হাড়োয়া রোড স্টেশনে। স্টোর রুম সংলগ্ন হোটেলে গিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করেন তাঁরা। এ দিন বারাসত রেল পুলিশের এক আধিকারিক জানান, বিভিন্ন স্টেশন থেকে এমন চুরির ঘটনায় উদ্বিগ্ন রেল। তাই এই চক্রের বাকিদের ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, যে সব জাগয়ায় পুরনো ব্যাটারি কেনাবেচা চলে, সেখানেও নজরদারি চালানো হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy