টহল: বাসন্তীতে। নিজস্ব চিত্র
এক যুব তৃণমূল নেতাকে পুলিশ আটক করার প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন যুব তৃণমূল কর্মীরা। রবিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে বাসন্তীর নির্দেশখালি ও পানিখালি মোড়ে। পরে অবশ্য বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসুর নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী এসে অবরোধকারীদের হটিয়ে দেয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, প্রায় এক মাসের বেশি সময় ধরে বাসন্তীর ফুলমালঞ্চ ও চুনাখালি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূলের যুব সংগঠনের সঙ্গে মূল সংগঠনের বিবাদ লেগে রয়েছে। এই বিবাদের জেরে এলাকায় মাঝেমধ্যে বোমাবাজির ঘটনা ঘটছে। দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষেরও একাধিক ঘটনা ঘটেছে। শনিবার রাত থেকেও চুনাখালির মাস্টারপাড়া, খাঁ পাড়া, সচিয়াখালি এলাকায় বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ালে বাসন্তী থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। সেই ঘটনার তদন্তও শুরু করে পুলিশ।
ঘটনার তদন্তে নেমে বাসন্তী থানার পুলিশ রবিবার দুপুরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আব্দুর মাজেদ মোল্লা নামে বাসন্তী ব্লক যুব তৃণমূলের এক নেতাকে আটক করে। সেই ঘটনার পর থেকেই এলাকার যুব তৃণমূল কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। অবিলম্বে তাঁদের নেতাকে মুক্তি দিতে হবে, দাবি তুলে কলতলা, চুনাখালি রাস্তার একাধিক জায়গায় অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।
এলাকার যুব তৃণমূল নেতা নাসিরউদ্দিন খান বলেন, “যুব তৃণমূল কর্মীরা দিনের পর দিন মার খাচ্ছেন। আর পুলিশ আমাদের নেতৃত্বকে ধরছে। সম্পূর্ণ ভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে যুব তৃণমূল কর্মীদের ফাঁসানো হচ্ছে। এর প্রতিবাদে আমরা সাময়িক রাস্তা অবরোধ করেছি। যদি মাজেদ মোল্লাকে না ছাড়া হয় তা হলে আরও বড় আন্দোলন হবে।’’ বাসন্তী ব্লকের তৃণমূল নেতা আব্দুল মান্নান গাজি বলেন, “যুব তৃণমূলের নাম করে বাসন্তীর ফুলমালঞ্চ, চুনাখালি এলাকায় নতুন করে কিছু দুষ্কৃতী সন্ত্রাস চালাচ্ছে। পুলিশ প্রশাসন এলাকার পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন। সেই ঘটনায় জড়িত থাকার কারণে পুলিশ যদি কাউকে আটক বা গ্রেফতার করে তাকে আমরা সমর্থন করছি।’’ যদিও এ বিষয়ে তৃণমূলের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা নেতৃত্বের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ফোনে যোগাযোগ করা হলেও কোনও উত্তর মেলেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy