Advertisement
১১ মে ২০২৪

সেপটিক ট্যাঙ্কে দেহ রাখে পড়শিই

ভাঙড়ে সেপটিক ট্যাঙ্কে উদ্ধার হওয়া মহিলার দেহটি রেখে গিয়েছিল প্রতিবেশী এক দর্জি। খুনও করেছিল সে-ই। গত রবিবার ভাঙড়ের সাতুলিয়া গ্রামে জাকির হোসেনের বাড়িতে দেহ উদ্ধারের ঘটনায় এমনটাই দাবি করলেন তদন্তকারীরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ভাঙড় শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০১৬ ০০:০০
Share: Save:

ভাঙড়ে সেপটিক ট্যাঙ্কে উদ্ধার হওয়া মহিলার দেহটি রেখে গিয়েছিল প্রতিবেশী এক দর্জি। খুনও করেছিল সে-ই। গত রবিবার ভাঙড়ের সাতুলিয়া গ্রামে জাকির হোসেনের বাড়িতে দেহ উদ্ধারের ঘটনায় এমনটাই দাবি করলেন তদন্তকারীরা। পুলিশ জেনেছে, ভারতী ঘোষ (৫০) নামে ওই মহিলার বাড়ি বাগুইআটিতে। গত মাস আটেক ধরে জাকিরের প্রতিবেশী আবদুল ওয়াইদ মোল্লা নামে ওই দর্জির বাড়িতে থাকছিলেন তিনি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, অগস্ট মাসে খুন করা হয় ওই প্রৌঢ়াকে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওয়াইদের একটি দোকান রয়েছে বাগুইআটিতে। তার পাশেই চালের ব্যবসা করতেন ভারতী। তদন্তে জানা গিয়েছে, ভারতীর কাছ থেকে প্রায় কয়েক লক্ষ টাকা ধার নেয় ওয়াইদ। মাস তিনেক আগে ভারতী নিজের বাড়ি ছেড়ে চলে যান। পুলিশের দাবি, সাতুলিয়ায় দর্জি কারখানায় অংশীদারীর টোপ দিয়ে ওয়াইদ ভারতীকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায়। মাস চারেক আগে ওয়াইদের কয়েক জন প্রতিবেশীকে ভারতী জানান, অংশীদারী বা ধার শোধের ব্যাপারে কোনও উচ্চবাচ্যই করছে না ওয়াইদ।

পুলিশ সূত্রে খবর, গত অগস্ট মাস থেকে ওয়াইদের বাড়িতে আর ভারতীকে দেখা যাচ্ছিল না।। প্রতিবেশীদের ওয়াইদ জানিয়েছিল, ভারতী বাড়ি ফিরে গিয়েছে। ইতিমধ্যে রবিবার জাকির নিজের বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কে দেহটি দেখেন। পুলিশ জানায়, তখন থেকেই ওয়াইদ বেপাত্তা হয়ে যায়। মঙ্গলবার কাশীপুর থানার গাবতলায় এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে তাকে ধরা হয়। পুলিশের দাবি, জেরায় ওয়াইদ খুন করে দেহ ট্যাঙ্কে রাখার কথা কবুল করেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Septic tank
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE