প্রতীকী ছবি।
পেটের রোগে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৫০ জন বাসিন্দা। প্রশাসন সূত্রে খবর, তার মধ্যে ৩৫ জনকে ভর্তি করানো হয়েছে হাসপাতালে। দুর্গাপুরের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের তামলা বস্তির আদিবাসী পাড়ার ঘটনা। স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার এলাকায় যায়। পুরসভার পক্ষ থেকে পানীয় জলের ট্যাঙ্ক পাঠানো হয়েছে। এলাকাবাসী ও কাউন্সিলর জানান, অসুস্থরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার থেকে সমস্যার সূত্রপাত। বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৫০ জন। দুর্গাপুর পুরসভার মেয়র পারিষদ (ক্রীড়া) তথা স্থানীয় কাউন্সিলর মানি সরেন জানিয়েছেন, দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল, দুর্গাপুর স্টিল হসপিটাল ও বেসরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে মোট ৩৫ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। রোগীদের কয়েক জনকে চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কয়েক মাসের শিশু থেকে প্রবীণ, আক্রান্তের তালিকায় প্রায় সববয়সী মানুষই রয়েছেন।
কিন্তু কেন এমন বিপত্তি? কাউন্সিলর জানান, এলাকায় একটি পুকুর রয়েছে। সেই পুকুরের জল স্নান করা, বাসন মাজা-সহ নানা প্রয়োজনে বাসিন্দারা ব্যবহার করেন। পুকুরের জল থেকেই বিপত্তি ঘটে থাকতে পারে বলে অনুমান তাঁর। এর জন্য পুকুরের জল ব্যবহার বন্ধ করতে বলা হয়েছে। পুরসভার তরফে এলাকায় পানীয় জলের ট্যাঙ্কার পাঠানো হয়েছে। পুরসভার মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) রাখি তিওয়ারির নেতৃত্বে পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের দল এলাকায় যায়। কাউন্সিলর মানিদেবী বলেন, ‘‘লাগোয়া এলাকা সাফ রাখা, জল ফুটিয়ে খাওয়া, বাসনপত্র ভাল করে ধোয়ার জন্য বলা হয়েছে। সম্ভবত এটা ডায়েরিয়াই। পুরসভা ও স্বাস্থ্য দফতরের দল ঘুরে গিয়েছে। স্বাস্থ্যপরীক্ষার পাশাপাশি ওআরএস ও প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র বিতরণ করা হয়েছে।’’
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের যদিও দাবি, পুকুরের জল নয়, পুরসভার পাইপবাহিত পানীয় জল থেকেই বিপত্তি ঘটেছে। মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি পঙ্কজ সিংহ, রবিদাস মুর্মুরা বলেন, ‘‘পানীয় জল থেকেই বিপত্তি ঘটেছে বলে মনে হচ্ছে।’’ তবে পুরসভার দাবি, সরবরাহ করা জল থেকে রোগ ছড়ালে আরও বড় এলাকা জুড়ে রোগ ছড়াত। কাউন্সিলর জানান, ওই এলাকা থেকে সব ধরনের জলের নমুনা নিয়ে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। রাখিদেবী বলেন, ‘‘খবর পেয়েছি, ওই এলাকায় ডায়রিয়া হয়েছে। আমরা এলাকায় গিয়েছিলাম। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy