এই ঘর নিয়েই বিতর্ক। নিজস্ব চিত্র।
দোকানঘর দখল করে কার্যালয় চালানো এবং তার প্রতিবাদ করায় দোকান মালিককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। দুর্গাপুরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কমলপুর প্লটের ঘটনা। মহকুমাশাসকের (দুর্গাপুর) কাছে সম্প্রতি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন দোকান মালিকসাধনা ঘোষাল।
কমলপুর প্লটের বাসিন্দা সাধনাদেবী জানান, ২০১৭-য় মৌখিক অনুমতির ভিত্তিতে পড়ে থাকা দোকানঘরটি তৃণমূলকে রাজনৈতিক কাজকর্মের জন্য ব্যবহার করার জন্য দিয়েছিলেন। কিন্তু এখন সেটি তিনি ফেরত চান। তাঁর অভিযোগ, ‘‘তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা ঘরটি ছাড়তে রাজি হননি। প্রতিবাদ করায় গত ২৩ ডিসেম্বর রাতে স্থানীয় তৃণমূল নেতা বাপন নায়েক ও তাঁর অনুগামীরা আমাকে ও ছেলেকে মারতে আসেন। আমাদের হুমকিও দেন।’’ অভিযোগ অস্বীকার করে বাপনবাবু বলেন, ‘‘মিথ্যা অভিযোগ। এমনকিছুই ঘটেনি।’’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রভাত চট্টোপাধ্যায় প্রতি বৃহস্পতিবার ওই কার্যালয়ে গিয়ে বিভিন্ন শংসাপত্র দিয়ে থাকেন। তিনি জানান, ঘরটি ব্যবহার করার জন্য প্রতি মাসে তিন হাজার টাকা করে তিনি অর্থ সাহায্য করেছেন পরিবারটিকে। ঘরের ভিতরে উপরতলার শৌচাগারের জল পড়ে। তা সারিয়ে দিতে বলা হলেও করা হয়নি। তার পরে থেকে তিনি কার্যালয়টি ব্যবহার বন্ধ করে দেন বলে দাবি প্রভাতবাবুর। পাশাপাশি, তাঁর সংযোজন: ‘‘আমি ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হওয়ার বহু বছর আগে থেকে পরিবারটি ওই ঘরটি ব্যবহার করতে দিয়েছে দলকে। ওঁদের আপত্তি থাকলে, ঘর ছেড়ে দেওয়া হবে।’’
তবে বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপির জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুই বলেন, ‘‘রাজ্য জুড়ে এ ভাবেই দখলের রাজনীতি চালাচ্ছে তৃণমূল।’’ জেলা তৃণমূলের অন্যতম সহ-সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিষয়টি আমার জানা নেই। কারও ঘর দখল করে দলীয় কার্যালয় বানানো আমাদের দলের নীতি নয়। কী ঘটেছে তা দলীয় স্তরে খোঁজ নেওয়া হবে।’’
মহকুমাশাসক (দুর্গাপুর) অর্ঘ্যপ্রসূন কাজি জানান, অভিযোগপত্র তাঁর হাতে এসে পৌঁছয়নি। এলে, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy