বিধি মেনে। নিজস্ব চিত্র
শিক্ষা দফতরের দাবি, জেলায় মিড-ডে মিলের চাল-আলু বিলি সুষ্ঠু ভাবেই করা গিয়েছে সোমবার। তবে স্কুল ঠিকমতো জীবাণুমুক্ত না করা, অভিভাবকদের বদলে পড়ুয়াদের স্কুলে চলে আসা বা বারবার সচেতন করার পরেও, সামাজিক দূরত্ব না মানার দু’-একটি বিক্ষিপ্ত অভিযোগ সামনে এসেছে বলে শিক্ষক সংগঠনগুলির দাবি।
এ দিন প্রাথমিকের ক্ষেত্রে প্রথমার্ধে প্রাক-প্রাথমিক ও দ্বিতীয়ার্ধে প্রথম শ্রেণি এবং হাইস্কুলে পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়াদের অভিভাবকদের চাল ও আলু দেওয়া হয়। জেলা স্কুল পরিদর্শকের দফতর থেকে স্কুলগুলিকে পাঠানো নির্দেশিকায় জানানো হয়, কোনও পড়ুয়াকে স্কুল চত্বরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হবে না। অভিভাবকদের ‘মাস্ক’ পরতে হবে। স্কুলে ঢোকার আগে সাবান বা ‘হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার’ ব্যবহার করতে হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। স্কুল চত্বর উপযুক্ত ভাবে জীবাণুমুক্ত করতে প্রশাসন ও পুরসভার সহযোগিতা নেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয় স্কুলগুলিকে।
শিক্ষক সংগঠনগুলি সূত্রে জানা যায়, দুর্গাপুর, কাঁকসা, রানিগঞ্জ ও জামুড়িয়ার গ্রামীণ এলাকার কয়েকটি স্কুলে জীবাণুমুক্ত ঠিক ভাবে করা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে পুরসভা এলাকার কোনও স্কুলে তেমন অভিযোগ মেলেনি। তবে গ্রামীণ এলাকায় কিছু স্কুলে অভিভাবকদের বদলে কিছু পড়ুয়া স্কুলে চলে আসে। শিক্ষকেরা জানান, এই স্কুলগুলির পড়ুয়াদের বেশির ভাগই প্রথম প্রজন্মের পড়ুয়া। তাদের অভিভাবকেরা দিনের অন্য কাজে ব্যস্ত ছিলেন বলেই আসতে পারেননি। তাই, পরিস্থিতির কথা ভেবে পড়ুয়াদেরই চাল, আলু দেওয়া হয়। পাশাপাশি, অভিভাবকদের একাংশের মধ্যে সচেতনতার অভাবে সুরক্ষা-বিধি না মানার প্রবণতাও দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ।
তৃণমূল প্রভাবিত ‘পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি’র জেলা সভাপতি রাজীব মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘জেলার কিছু স্কুলে ঠিক ভাবে জীবাণুমুক্ত করা হয়নি বলে শুনেছি। তবে প্রশাসন ও স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা অত্যন্ত ভাল কাজ করেছেন। মোটের উপরে গোটা প্রক্রিয়া অত্যন্ত সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করা গিয়েছে এ দিন।’’ বাম প্রভাবিত শিক্ষক সংগঠন ‘নিখিলবঙ্গ শিক্ষক সমিতি’র জেলা সম্পাদক অমিতদ্যুতি ঘোষও বলেন, “মোটের উপরে প্রথম দিন সুষ্ঠু ভাবেই চাল, আলু বিলি হয়েছে। ঠিকমতো জীবাণুমুক্ত না করার অভিযোগ উঠেছে দু’-একটি স্কুলে।’’
জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের দফতর অবশ্য জানিয়েছে, সামগ্রী বিলি নিয়ে কোনও স্কুলের পক্ষ থেকে কোনও অভিযোগ আসেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy