তছনছ জিনিসপত্র। নিজস্ব চিত্র
বাড়িতে তালা দিয়ে কোথাও যাওয়ার যেন আর উপায় নেই। তালা ভেঙে বাড়িতে লুটপাটের একের পরে এক ঘটনার পরে এমনই মনে করছেন পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল শিল্পাঞ্চলের বাসিন্দাদের বড় অংশ। এ বার দরজা ভেঙে বাড়িতে চুরির অভিযোগ উঠেছে হিরাপুরের আমবাগান এলাকায়।
লুটপাটের ঘটনার কথা জানাজানি হয় বৃহস্পতিবার সকালে। পেশায় রেলকর্মী অনিরুদ্ধ মুখোপাধ্যায় পুলিশকে জানান, বুধবার সকালে তিনি ডিউটিতে বেরিয়ে যান। সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ তাঁর স্ত্রী বাড়িতে তালা দিয়ে কিছুটা দূরে বাপের বাড়িতে যান। রাতে কর্মস্থল থেকে সেখানে চলে যান অনিরুদ্ধও। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি বাড়ি ফেরেন।
অনিরুদ্ধবাবু অভিযোগ করেন, বাইরের গেটের তালা খুলে ভিতরে ঢুকে দেখেন, বাড়ির দরজার তালা ভাঙা। ঘরে ঢুকে দেখা যায়, যাবতীয় জিনিসপত্র তছনছ করা হয়েছে। দোতলাতেও দুষ্কৃতীরা তাণ্ডব চালিয়েছে। দু’টি আলমারি ভেঙে গয়না, নগদ টাকা-সহ অনেক জিনিস লুট করা হয়েছে বলে অভিযোগ। অনিরুদ্ধবাবু বলেন, ‘‘আচমকা ঘরের ওই পরিস্থিতি দেখে হতভম্ব হয়ে যাই। কয়েকজন প্রতিবেশীকে বিষয়টি জানাই। তাঁদের পরামর্শে হিরাপুর থানায় খবর দিই।’’
বাড়ি ফাঁকা পেলেই..
৪ ডিসেম্বর: হিরাপুরের আমবাগান এলাকায় লুটপাট রেলকর্মীর বাড়িতে।
২৬ নভেম্বর: কুলটির চাপতোড়িয়ায় এক বেসরকারি কারখানার কর্মীর বাড়িতে লুট।
৬ নভেম্বর: সীতারামপুরে ডাকাতি ডিজিএমএস আবাসনে আধিকারিকের বাড়িতে।
২৭ সেপ্টেম্বর: জামুড়িয়ার ভূতবাংলা কলোনিতে খনিকর্মী আবাসনে দু’টি বাড়িতে চুরি।
১৬ সেপ্টেম্বর: আসানসোলে কল্যাণপুর স্কিম ২ এলাকায় দিনেদুপুরে ঘরে ঢুকে চুরি।
পুলিশ জানায়, দুষ্কৃতীরা পাঁচিল টপকে ভিতরে ঢুকেছিল। তার পরে ধারাল কিছু দিয়ে মূল দরজার তালা কেটে ঘরে ঢোকে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, বাড়িতে যাতায়াত রয়েছে, এমন কারও এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। দুষ্কৃতীরা ভাল ভাবে জানত, সে রাতে বাড়িতে কেউ থাকবেন না। সেই সুযোগেই লুটপাট চালানো হয়েছে।
আসানসোল পুরসভার ৯৬ নম্বর ওয়ার্ডের এই অঞ্চলটি জনবহুল। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ঠান্ডা পড়ে যাওয়ায় রাতে লোকজন যাতায়াত কমেছে। সেই সুযোগ দুষ্কৃতীরা নিয়েছে বলে ধারণা তাঁদের। তাঁদের দাবি, এমন ঘটনা এখানে আগে হয়নি। তাই তাঁরা আতঙ্কে ভুগছেন। পুলিশের আশ্বাস, তল্লাশি চলছে। দুষ্কৃতীরা ধরা পড়বে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy