ফের দুষ্কৃতী-হামলা হুগলির জেলা সদর চুঁচুড়ায়। এ বার এক রেলকর্মীর বাড়িতে।
চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট তৈরি হওয়ার পরেও হুগলির গঙ্গাঘেঁষা শহরাঞ্চলে অপরাধে লাগাম পরেনি। কিছুদিন আগেই এক শিক্ষকের ডাকে চুঁচুড়ার পিপুলপাতিতে এইচআইটি-তে ঢুকে ছাত্রছাত্রীদের মারধর করেছিল কিছু সশস্ত্র দুষ্কৃতী। রবিবার গভীর রাতে ওই এলাকারই রেলকর্মী দেবাশিস চক্রবর্তীর বাড়িতে ‘মেস’ ভাড়া চাওয়ার নাম করে ভাঙা বোতল এবং ইট ছুড়ে চম্পট দিল কিছু দুষ্কৃতী। সোমবার বিকেল পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। আতঙ্কে রয়েছেন দেবাশিসবাবুরা।
কমিশনারেটের এক কর্তা জানান, ওই বাড়ির সামনে লাগানো সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে দোষীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দেবাশিসবাবু কর্মসূত্রে আসানসোলে থাকেন। তাঁর একমাত্র ছেলে দীপ সঙ্গীত পরিচালনার কাজ করেন। তিনিও কর্মসূত্রে মুম্বইয়ে থাকেন। পিপুলপাতিতে ওই দোতলা বাড়িতে দেবাশিসবাবুর স্ত্রী শিবানীদেবী একাই থাকেন। বাড়ির একতলায় কয়েকটি দোকান রয়েছে। কিছুদিন আগে শিবানীদেবী অসুস্থ হয়ে পড়ায় দেবাশিসবাবু এবং দীপ ফিরে আসেন। রবিবার তাঁরা বাড়িতে ছিলেন। রাত ১২টা নাগাদ তাঁরা যখন শুয়ে পড়েছেন, তখন তিনটি মোটরবাইকে জনাছয়েক দুষ্কৃতী এসে বাড়িতে বোতল ও ইট ছুড়তে থাকে। দেবাশিসবাবু এবং দীপ জানলা দিয়ে ওই দুষ্কৃতীদের কাছে হামলার কারণ জানতে চান। দুষ্কৃতীরা তখন ‘মেস ভাড়া মিলবে কিনা, জানতে চায়। দেবাশিসবাবুরা না বলায় দুষ্কৃতীরা ফের ইট-বোতল ছুড়ে চম্পট দেয়। ঘটনার কথা জানাজানি হয় সোমবার সকালে। দেবাশিসবাবু থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
তদন্তকারীদের অনুমান, এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে দেবাশিসবাবুর বাড়ির একটি দোকান-ঘরের চুক্তির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় তা নিয়ে গোলমালের জেরে হামলা হতে পারে। তবে, দেবাশিসবাবুরা এ নিয়ে অন্ধকারে। দীপ বলেন, ‘‘আমরা না-থাকলে হয়তো বড় কিছু হয়ে যেত। দোকান-ঘর নিয়ে গোলমালের জেরে এমন হল কিনা, বুঝতে পারছি না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy