রামনগর সেতু উদ্বোধনে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ছবি: দীপঙ্কর দে
তারকেশ্বর উন্নয়ন পর্ষদের (টিডিএ) আওতাধীন এলাকাকে ঢেলে সাজা হবে। শনিবার টিডিএ-র বৈঠকে এ সংক্রান্ত একগুচ্ছ পরিকল্পনা নেওয়া হল। তার মধ্যে যেমন রয়েছে তারকেশ্বর রাজবাড়িতে আলোকসজ্জা, তেমনই রয়েছে পর্ষদের আওতাধীন এলাকাকে ঘেরা।
এ দিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, জেলাশাসক সঞ্জয় বনশল, স্থানীয় বিধায়ক রচপাল সিংহ, মন্দির কমিটির অন্যতম কর্তা বেচারাম মান্না-সহ প্রতিনিধিরা। বর্তমানে পর্ষদে সাতটি পঞ্চায়েত এলাকা রয়েছে। আরও তিনটি পঞ্চায়েতকে টিডিএ-র অন্তর্ভুক্ত করার জন্য তারকেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়।
বেচারাম বলেন, ‘‘আরও তিনটি পঞ্চায়েতকে যুক্ত করার প্রস্তাবটি বিবেচনা করা হচ্ছে। মন্দির লাগোয়া পঞ্চায়েতগুলির গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে হাইমাস্ট আলো লাগানো হবে। রাস্তার কাজও হবে।’’
গত বছর তারকেশ্বরে প্রশাসনিক বৈঠক করতেো এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টিডিএ-র কথা ঘোষণা করেন। ওই বৈঠকেই স্থির হয়, প্রাথমিক ভাবে টিডিএ-র কাজ শুরুর জন্য পাঁচ কোটি টাকা দেবে রাজ্য সরকার। সেই টাকা জেলাশাসকের কাছে আসার পরই টিডিএ-র কাজে গতি আসে। ঠিক হয়, জেলা পরিষদ, পুরসভা, পঞ্চায়েত সমিতি স্থানীয় ভাবে ছোট কাজ করবে। কেএমডি-এ বড় কাজে হাত দেবে। পরিকল্পনার প্রথম পর্যায়ে তারকেশ্বর মন্দিরের মহন্ত মহারাজ টিডিএ-র কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন মন্দির চত্বরে অনেক দোকান বসে গিয়েছে, যা আইনত বৈধ নয়। ফলে, মন্দিরের রাস্তাও পরিসর এবং ছোট হয়ে গিয়েছে। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করে মন্দিরের সার্বিক উন্নয়ন করলে ভাল হয়।
এরপরেই টিডিএ কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসেন। সাধারণ মানুষের রুটিরুজির প্রশ্ন থাকায় মন্দিরের পথ আগলে যে সব দোকান রয়েছে, সেগুলিকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই বিকল্প জায়গায় দোকানঘর নির্মাণ শুরু হয়েছে। সাজা হচ্ছে পার্কিং লট। মন্দির চত্বরের সমস্ত নিকাশি ব্যবস্থাকে মাটির তলা দিয়ে নিয়ে গিয়ে উপরে স্ল্যাব ঢেলে ফুটপাত করে দেওয়া হবে। মন্দির কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে রাজবাড়ি সংস্কার করে এলইডি আলোয় সাজানো হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy