কলেজের নোটিস বলছে— টাকা দাও, আগে পাও!
অভিযোগ, পড়ুয়াদের স্নাতক হওয়ার শংসাপত্র দেওয়ার বিনিময়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ একটি কলেজ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এমন ফরমান জারি করেছে। অভিযোগের তির হাওড়ার বিজয়কৃষ্ণ গার্লস কলেজের বিরুদ্ধে। সদ্য পাশ করা ছাত্রীরা ৫০০ টাকা দিলে কলেজ কর্তৃপক্ষ তিন দিনের মধ্যে শংসাপত্র এনে দেবেন বলে লেখা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। সোমবার দুপুরেও কলেজের টিচার্স রুমের বাইরে এবং অধ্যক্ষের ঘরের কাছে বহাল তবিয়তে ছিল ওই বিজ্ঞপ্তি। যদিও অধ্যক্ষা রুমা ভট্টাচার্য মঙ্গলবার এই ধরনের বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার বিষয়টি বেমালুম অস্বীকার করেছেন।
স্নাতক হওয়ার মার্কশিটের সঙ্গে শংসাপত্রও সাধারণত কলেজ থেকেই হাতে পান পড়ুয়ারা। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্তার কথায়, ‘‘প্রথম দশ বছর তো এই সার্টিফিকেট কলেজ থেকেই নিখরচায় পাওয়ার কথা।’’ তাঁর দাবি, দশ বছরের পুরনো হয়ে গেলে শংসাপত্র বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নিয়ে আসাই দস্তুর। যত পুরনো হয় শংসাপত্র, তা বিশ্ববিদ্যালয়ে গচ্ছিত রাখার খরচ হিসেবে কিছু টাকা দিতে হয় পড়ুয়াদের। ওই কর্তার আক্ষেপ, ‘‘নিয়ম না-থাকলেও কিছু কলেজ স্নাতকের শংসাপত্র দেওয়ার বিনিময়ে টাকা নিচ্ছে। এটা অনুচিত।’’
কলেজের ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০১২-’১৬ সালের মধ্যে যাঁরা পাশ করেছেন, ৫০০ টাকা দিলে ফর্ম পূরণ করার তিন দিনের মধ্যে শংসাপত্র পাবেন। ২০১১-র আগে পাশ করলেও ৫০০ টাকার বিনিময়ে তিন দিনের মধ্যেই শংসাপত্র মিলবে। আর ২০১১ বা তারও আগে পাশ করা ছাত্রীদের আবেদন করার পরে নির্দিষ্ট দিনে শংসাপত্র নেওয়ার জন্য ৫০০ টাকা দিতে হবে।
বিতর্কিত: এই সেই নির্দেশ। নিজস্ব চিত্র
বিজয়কৃষ্ণ কলেজের ওয়েবসাইটেই বলা হয়েছে, সেখানে ছাত্রী-সংখ্যা ৪৫০০। সারা দেশে এত পড়ুয়া কোনও গার্লস কলেজে নেই বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। অর্থাৎ, প্রতি বছর আনুমানিক ১০০০-১৫০০ পড়ুয়া স্নাতক হন। কয়েকটি বিষয়ে স্নাতকোত্তর স্তরেও পড়ানো হয় কলেজে। সদ্য পাশ করা ছাত্রীদের কয়েক জন শংসাপত্রের জন্য টাকা চাওয়ার আর্জিতে স্তম্ভিত। তাঁরা বিষয়টি নিয়ে তথ্য জানার অধিকারের আইনে আবেদন করার কথা ভাবছেন। ছাত্রী মহলের একাংশের রসিকতা, এত টাকা পেলে কলেজ কি শংসাপত্র সোনায় বাঁধিয়ে দেবে?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy