প্রতীকী ছবি।
নিরাপত্তার খাতিরে মুম্বই রোডের (ডোমজুড় থেকে নাওপালা) নানা জায়গায় সিসিক্যামেরা বসেছে আগেই। এ বার সেই ক্যামেরার সংখ্যা আরও বাড়িয়ে কেন্দ্রীয় ভাবে নজরদারিতে উদ্যোগী হল হাওড়া (গ্রামীণ) জেলা পুলিশ। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ১ ডিসেম্বর ধূলাগড়ি থেকে ওই নজরদারি ব্যবস্থা চালু করা হবে বলে জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
কেন এই উদ্যোগ? গ্রামীণ জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, এখন স্থানীয় ভাবে নজরদারি চালানোর হলেও অপরাধীদের চিহ্নিত করা, যানজট নিয়ন্ত্রণ করার মতো বিভিন্ন বিষয়ে অনেক সময়ে সমন্বয় থাকছে না। কেন্দ্রীয় নজরদারি হলে সেই সমস্যা অনেকটা কমবে।
ডোমজুড় থেকে নাওপালা— মুম্বই রোডের এই ৯০ কিলোমিটার অংশে গুরুত্বপূর্ণ মোড় এবং কারখানাগুলির সামনে সিসিক্যামেরা রয়েছে (পুলিশের হিসেবে ১৮০টি)। সেগুলির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ট্রাফিক গার্ড-এর পক্ষ থেকে স্থানীয় ভাবে মুম্বই রোডে নজরদারি চালানো হয়। নতুন ব্যবস্থা চালু হলে সেই সব সিসিক্যামেরাও চলে আসবে ধূলাগড়ির কেন্দ্রীয় নজরদারির আওতায়।
গ্রামীণ জেলা পুলিশ সূত্রের খবর, হাওড়া জনবহুল জেলা। মুম্বই রোডে দুর্ঘটনা লেগেই আছে। সবচেয়ে বড় বিপদ গাড়ির দ্রুত গতি। বিভিন্ন জায়গায় গাড়ির গতি নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অনেক সময়ে দেখা যায়, তার থেকেও বেশি গতিতে গাড়ি চলে। রাস্তায় চলার নিয়মকানুন অনেক সময়ে মানা হয় না। বিভিন্ন কারণে প্রায়ই যানজটও হয়। নতুন ব্যবস্থায় রাস্তায় আইনভঙ্গকারীকে চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হবে সংশ্লিষ্ট থানার টহলদার পুলিশকর্মীদের। জাতীয় সড়কে ছিনতাই এবং অন্য অপরাধমূলক কাজকর্মও এতে নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব।
মুম্বই রোডে ভিআইপি-দের যাতায়াতও বেশি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও দুই মেদিনীপুর, হুগলি, বর্ধমানের বিভিন্ন এলাকায় যাওয়ার সময়ে মুম্বই রোড ব্যবহার করেন। মাসখানেক আগে দক্ষিণেশ্বরে যাওয়ার সময়ে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ের একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়ে। এ রকমই মুম্বই রোডের কোথায় কী তাৎক্ষণিক সমস্যা হচ্ছে তা জানা যাবে কেন্দ্রীয় ভাবে নজরদারি চালানো হলে— এমনটিই মত পুলিশের। বাড়তি সিসিক্যামেরা বসানোর খরচ পরিবহণ দফতর বহন করবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy