Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

হুগলিতে সিনিয়র ডিভিশন ক্রিকেটে জিতল চুঁচুড়ার ক্লাব

লিগের ফাইনাল হওয়ার কথা ছিল গত শনিবার। টাউন ক্লাবকে খেলতে হতো পান্ডুয়া এক্স-প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে। এ কথা আয়োজক সংস্থার পক্ষ থেকে পান্ডুয়ার দলটিকে জানানো হয়। কিন্তু ওই দলটির তরফে জানানো হয়, এত কম সময়ে তাঁদের পক্ষে ফাইনাল খেলতে নামা সম্ভব নয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০১৭ ০৩:১৪
Share: Save:

ফাইনালে ওয়াক-ওভার পেয়ে হুগলি জেলা ক্রীড়া সংস্থার সিনিয়র ডিভিশন ক্রিকেট লিগে চ্যাম্পিয়ন হল চুঁচুড়ার টাউন ক্লাব। ফলে, আগামী মরসুমে সুপার লিগে খেলতে পারবে তারা। তবে, টাউন ক্লাবের বিরুদ্ধে ভুয়ো প্লেয়ার খেলানোর অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে একটি ক্লাব। টাউন ক্লাব এবং আয়োজক সংস্থা অভিযোগ না মানলেও অভিযোগকারী দল সহজে বিষয়টি ছাড়তে নারাজ।

লিগের ফাইনাল হওয়ার কথা ছিল গত শনিবার। টাউন ক্লাবকে খেলতে হতো পান্ডুয়া এক্স-প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে। এ কথা আয়োজক সংস্থার পক্ষ থেকে পান্ডুয়ার দলটিকে জানানো হয়। কিন্তু ওই দলটির তরফে জানানো হয়, এত কম সময়ে তাঁদের পক্ষে ফাইনাল খেলতে নামা সম্ভব নয়। আয়োজক সংস্থা অবশ্য বাড়তি সময় দেয়নি। শনিবার টাউন ক্লাব মাঠে এলেও পান্ডুয়া এক্স-প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের খেলোয়াড়রা হাজির হননি।

১২টি দলকে দু’টি গ্রুপে ভাগ করে লিগ শুরু হয়েছিল। উভয় গ্রুপের প্রথম দুই দল নকআউটে ওঠে। একটি সেমিফাইনালে পান্ডুয়া এক্স-প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন হারায় নির্মলা স্মৃতি সঙ্ঘকে। অপর সেমিফাইনালে টাউন ক্লাবের মুখোমুখি হয় নলডাঙা ইয়ং স্টারস। গত ২৩ জানুয়ারি চুঁচুড়ার ওয়েস্টার্ন গ্রাউন্ডে এই দু’দল মুখোমুখি হয়। নলডাঙ্গা ইয়ং স্টারস বিপক্ষের অরুণ ছাপরানা নামে এক খেলোয়াড়কে নিয়ে প্রশ্ন তোলে। তাদের অভিযোগ, অরুণ হুগলির ক্রিকেটারই নন। তাঁর বাড়ি হরিয়ানার ফরিদাবাদে। পক্ষান্তরে, টাউন ক্লাবের দাবি, অরুণ শ্রীরামপুরের বাসিন্দা। এর যাবতীয় প্রমাণও সংস্থায় দাখিল করা হয়েছে। কিন্তু নলডাঙা ইয়ং স্টারসের দাবি, ওই ঠিকানা ভুয়ো। তাদের তরফে চুঁচুড়া আদালতে মামলা করা হয়েছে। আদালতে কর্মবিরতির চলায় এখনও শুনানি হয়নি।

নলডাঙা ইয়ং স্টারস ওই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিল রাজেন্দ্র স্মৃতি সঙ্ঘ নামে একটি ক্লাবের তত্ত্বাবধানে। ওই ক্লাবের যুগ্মসচিব শুভজিৎ পাঠক বলেন, ‘‘অরুণ যে ফরিদাবাদের প্লেয়ার, সে ব্যাপারে আমাদের কাছে তথ্যপ্রমাণ রয়েছে। তিনি হরিয়ানার হয়ে বিসিসিআইয়ের টুর্নামেন্টেও খেলেছেন।’’ ক্লাবের কর্মকর্তারা জানান, এ বার হাইকোর্টে যাওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।

হুগলি জে‌লা ক্রীড়া সংস্থার তরফে অবশ্য দিন কয়েক আগে চিঠি দিয়ে জানানো হয়, নলডাঙার অভিযোগ ঠিক নয়। সংস্থার সহ-সভাপতি তনুময় বসুর দাবি, অরুণ শ্রীরামপুরের বাসিন্দা বলে ভোটার কার্ড জমা দেন। জেলাশাসকের দফতর তদন্ত করে বলেছে, ওই কার্ড সঠিক। পরে অরুণ আধার কার্ডও জমা দেন। ফলে, তিনি যে শ্রীরামপুরের বাসিন্দা, তা নিয়ে সন্দেহ নেই। তনুময়ের কথায়, ‘‘এর পরেও যদি ওই প্লেয়ারের অন্য রাজ্যের ভোটার কার্ড থাকে, সেটা আমাদের বিবেচ্য নয়। তার জন্য আইন-আদালত আছে। ওঁরা কোর্টে গেলে সেখানে আমরাও আমাদের কথা বলব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE