—প্রতীকী ছবি
সঙ্কীর্ণ রাস্তার ধারে প্লাস্টিক পেতে, কোনও বাড়ির এক চিলতে বারান্দায় কিংবা স্টেশনারি দোকানেও চলত বাজি কেনাবেচা। বিপজ্জনক এই ব্যবসা বন্ধ করতে এ বার উদ্যোগী হল হাওড়া পুলিশ-প্রশাসন। এই বছর থেকে হাওড়ায় চালু হচ্ছে বাজি বাজার।
প্রশাসন সূত্রের খবর, গত বছরেই হাওড়া শহরে বাজি বাজার চালু করার একটি পরিকল্পনা হয়েছিল। কিন্তু তা শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন কারণে কার্যকর করা যায়নি। শুক্রবার হাওড়া পুলিশ কমিশনারেট, জেলা প্রশাসন ও হাওড়া পুরসভার বৈঠকে বাজি বাজার চালুর সিদ্ধান্ত হয়। হাওড়ার জেলাশাসক চৈতালী চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এই প্রথম হাওড়া শহরে বাজি বাজার হচ্ছে। শহরের তিনটি প্রান্তে জায়গাও নির্দিষ্ট করা হয়েছে।’’ বালির দেশবন্ধু ক্লাব, উত্তর হাওড়ার ঘাসবাগান ও মধ্য হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়ামের মাঠ— এই তিনটি জায়গায় বসবে বাজির বাজার। আগামী ২৯ অক্টোবর সোমবার থেকে শুরু হয়ে কালীপুজোর পরের দিন অর্থাৎ, ৭ নভেম্বর বুধবার পর্যন্ত চলবে ওই তিনটি বাজার।
কলকাতা পুলিশ এলাকায় বহু বছর ধরেই চলে বাজি বাজার। টালা পার্ক, ময়দান-সহ ৫টি জায়গায় বসে এই বাজার। পুলিশ জানায়, যত্রতত্র বাজি বিক্রির সংখ্যা বাড়তে থাকায় বিপদের আশঙ্কাও বাডছে। সেই পরিস্থিতি বদলাতেই হাওড়াতেও চালু হচ্ছে এই বাজার। হাওড়ার পুলিশ কমিশনার তন্ময় রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘নির্দিষ্ট তিনটি জায়গাতেই ‘অন-স্পট’ ভিত্তিতে এক জানলা নীতিতে ব্যবসায়ীদের বাজি বিক্রির অনুমতি মিলবে।’’
দেশবন্ধু ক্লাবে ২০০, ঘাসবাগানে ১৫০ এবং ডুমুরজলায় ২৫০টি স্টল তৈরি করা হবে। প্রতিটি বাজি বাজারের পরিকাঠামো তৈরি করে দেবে হাওড়া পুরসভা। তাতে স্টল থেকে শুরু করে সাফাই ও আলোর ব্যবস্থা থাকবে। মেয়র রথীন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বিপদ এড়াতে পুলিশ-প্রশাসনের এটা খুব ভাল উদ্যোগ। মেয়র পারিষদ গৌতম চৌধুরীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পরিকাঠামোর পুরো বিষয়টি দেখভাল করতে।’’ তন্ময়বাবু আরও জানান, সরকারি তালিকাভুক্ত বাজি বিক্রি করা হচ্ছে কি না, তার দিকেও নজরদারি থাকবে। পরিবেশ দফতরের আধিকারিকেরাও বাজি বাজার পরিদর্শন করবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy