স্মৃতি দাস। নিজস্ব চিত্র
স্ত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে স্বামীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার সকালে চুঁচুড়ার পল্লিশ্রী এলাকার শ্বশুরবাড়ি থেকে স্মৃতি দাস(১৮) নামে ওই মহিলার ঝুলন্ত দেহ মেলে। মৃতের পরিজনদের অভিযোগ ছিল, তাঁকে খুন করা হয়েছে। এরপরই স্মৃতির স্বামী রঞ্জনকে ধরা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর তিনেক আগে পল্লিশ্রীর রঞ্জনের সঙ্গে লেনিননগরের স্মৃতির বিয়ে হয়েছিল। রঞ্জন ক্যাটারিং দলে রান্নার কাজ করত। কাজ না থাকলে বাড়িতেই বসে থাকত। দম্পতির এক বছরের এক মেয়েও রয়েছে। পড়শিরা জানান, বিয়ের পর থেকেই ওই দম্পতির ঝগড়া লেগেই থাকত।
স্মৃতির শ্বশুর রবি দাসের অভিযোগ ছেলের বিরুদ্ধেই। তিনি বলেন, ‘‘ছেলে মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরে বৌমাকে মারধর করত। আমি কতবার বাধা দিয়েছি। উল্টে আমাকেই মারধর করেছে ছেলে।’’ তাঁর অভিযোগ, রবিবার রাতে ফের মদ খেয়ে বাড়ি ফিরলে ছেলে-বৌমার ঝগড়া শুরু হয়। তারপর সকালে দেখি, বৌমা গলায় ওড়না জড়িয়ে আত্মহত্যা করেছে।’’
এরপর গৃহবধুর স্বামী ও শাশুড়ি স্মৃতিকে চুঁচুড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে জানান। ইতিমধ্যে রবিবাবু খবর দেন স্মৃতির বাপের বাড়িতে। স্মৃতির পরিজনরা জানান, তাঁরা হাসপাতালে যাওয়ার পর জানতে পারেন স্মৃতি মারা গিয়েছে। ঘরে গিয়ে দেখা যায়, সব জিনিস লন্ডভন্ড। এরপরই স্মৃতির পরিজনরা তাঁর স্বামী রঞ্জনের বিরুদ্ধে খুনে প্ররোচনার অভিযোগ দায়ের করেন। গ্রেফতার করা হয় রঞ্জনকে।
স্মৃতির বাবা কার্তিক বাগ বলেন, ‘‘জামাই মেয়েটার উপর অত্যাচার করত। কয়েকবার বোঝানোর চেষ্টা করেছিলাম। উল্টে আমাদের হুমকি দিত। ওদের জন্য মেয়েটা এমনভাবে চলে যাবে, ভাবতে পারিনি।’’ চন্দননগর কমিশনারেটের এক কর্তা জানান, ‘‘অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোট পেলেই বিষয়টা পরিষ্কার হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy