খুশি: নতুন বইয়ের আনন্দে। রাজাপুর সবিতা ভক্তা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ছবি: সুব্রত জানা
নতুন বছরের শুরুতেই মায়ের হাত ধরে স্কুলে প্রথম পা রাখল উলুবেড়িয়া রাজাপুর করাতবেড়িয়া ঘুকুপাড়ার বছর পাঁচেকের আতনু বর ও পিউ ঘুকু। জীবনের প্রথম তাদের স্কুলে আসা। বৃহস্পতিবার সকালে স্কুলজীবনের প্রথম দিনেই তারা হাতে পেল নতুন বই। সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তা। স্কুলের প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার চেটেল তাদের হাতে তুলে দিলেন ফুলের গোছাও। তিনি বলেন, ‘‘নতুন ক্লাস। নতুন বই পেলে সকলেরই ভাল লাগে।’’
বৃহস্পতিবার ছিল পুস্তক দিবস অনুষ্ঠান। সমস্ত পড়ুয়াদের বই বিতরণ করার দিন। এই উপলক্ষে উলুবেড়িয়া রাজাপুর সবিতা ভক্তা প্রাথমিক বিদ্যালয় এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন উলুবেড়িয়া-২-এর বিডিও নিশীথকুমার মাহাতো, বাণীবন চক্র অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক সুমুদ্রিকা সামন্ত। পুস্তক দিবস ঘিরে পড়ুয়াদের আনন্দও ছিল নজরে পড়ার মতো।
গত বছর পর্যন্ত পুস্তক দিবসের অনেক পরে বই পেয়েছিল সরকারি মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীরা। তার কারণ ছিল মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের ত্রুটিই। এ বছর অবশ্য ছবিটা আলাদা। অনেক আগেই বই এসে গিয়েছে মাদ্রাসাগুলিতে। বৃহস্পতিবার পুস্তক দিবসে বই পেয়ে খুশি মাদ্রাসার পড়ুয়ারাও।
খুশির আমেজ মাদ্রাসাগুলিতেও। রঙিন কাগজ ও বেলুন দিয়ে সাজানো হয়েছিল শ্যামপুরের খাজনাবাহালা হাই মাদ্রাসায় চত্বরকে। পড়ুয়াদের হাতে নতুন বইয়ের সঙ্গে উপহার হিসাবে তুলে দেওয়া হল চকোলেট, ঘুড়ি, লাটাই, ব্যাডমিন্টনের র্যাকেট। হল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনাসভা।
প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘‘গত বছর পর্যন্ত আমরা পুস্তক দিবসে নতুন বই ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে তুলে দিতে পারিনি। এ বছর অনেক আগেই সরকারি স্কুলগুলির সঙ্গে মাদ্রাসাগুলিতেও বই চলে এসেছে। ফলে তাদের হাতে বই তুলে দেওয়াই শুধু নয়, নানা উপহারও দিয়েছি। সবাই খুব আনন্দ পেয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy