Advertisement
২৬ অক্টোবর ২০২৪
Baruipur

সাদা পোশাকের পুলিশ দেখেই অভিযান ঘিরে ধন্দ, দাবি গ্রামবাসীদের

মাদক উদ্ধার করতে যে বাড়িতে অভিযানে গিয়েছিল পুলিশ, সেই বাড়ির সদস্যেরাও কেউ এলাকায় নেই বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইতিমধ্যেই এক জনকে আটক করা হয়েছে।

Representative Image

—প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বারুইপুর শেষ আপডেট: ১১ মে ২০২৪ ০৭:৪৫
Share: Save:

বারুইপুরের গ্রামে পুলিশের উপরে হামলার ঘটনায় শুক্রবারও কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। বৃন্দাখালি পঞ্চায়েতের মাঝপুকুর গ্রামে বৃহস্পতিবার মাদক উদ্ধারে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযোগ, তল্লাশি চলাকালীন হামলার মুখে পড়েন পুলিশকর্মীরা। বেশ কয়েক জন কর্মীকে মারধর করা হয়। চার জন জখম হন বলে জানা গিয়েছে। শুক্রবার সকালেও গ্রামে যায় পুলিশ। তাদের দাবি, অভিযুক্তেরা পলাতক। মাদক উদ্ধার করতে যে বাড়িতে অভিযানে গিয়েছিল পুলিশ, সেই বাড়ির সদস্যেরাও কেউ এলাকায় নেই বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইতিমধ্যেই এক জনকে আটক করা হয়েছে।

এ দিন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, থমথমে পরিবেশ। পুরুষদের অনেকেই গ্রামছাড়া। আগের দিন তল্লাশি চলা দু’টি বাড়িই এ দিন তালাবন্ধ ছিল। ওই পরিবারের আত্মীয় এক মহিলার দাবি, “বৃহস্পতিবার দুপুরে কয়েক জন বাড়িতে ঢোকে। তখন বাড়িতে শুধু এক মহিলা ছিলেন। তাঁকে বেঁধে রেখে বাড়ি তোলপাড় শুরু করে তারা। টাকা-গয়না ছিনিয়ে নেয়। তাদের পরনে পুলিশের পোশাক ছিল না। ফলে গ্রামের মানুষ বুঝতে পারেননি যে, ওরা পুলিশ। তাই এই ভাবে টাকা-গয়না নিতে দেখে বাধা দেন।”

পুলিশ সূত্রের খবর, মাঝপুকুর গ্রামে এক বা একাধিক বাড়িতে অবৈধ মাদক ও মাদক বিক্রির বেআইনি নগদ টাকা আছে বলে খবর এসেছিল। সেই সূত্র ধরেই ওই দিন বিকেলে সাদা পোশাকের পুলিশের দল গ্রামে অভিযান চালায়। সঙ্গে ছিলেন নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিরাও। পুলিশের দাবি, বাবু তরফদার ও কোচন তরফদার নামে দু’জনের বাড়িতে অভিযান চলে। মাদক ও নগদ উদ্ধারের পরে, তা মিলিয়ে দেখার সময়ে পরিবারের সদস্য ও গ্রামবাসীদের একাংশ হামলা চালান। উদ্ধার হওয়া মাদক ও নগদ কেড়ে নেওয়া হয়। অন্ধকারে পুলিশকে আটকে লাঠি, বাঁশ দিয়ে মারা হয় বলেও অভিযোগ। খবর পেয়ে পুলিশের বড় বাহিনী গিয়ে কর্মীদের উদ্ধার করে।

বারুইপুরের এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস বলেন, “নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিল পুলিশ। সেই সময়ে হামলা চালানো হয়। অভিযুক্তেরা পলাতক। দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।” সাদা পোশাকের পুলিশ দেখে ধন্দ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “অভিযান চলাকালীন সঙ্গে স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ছিলেন। তিনিই গ্রামবাসীদের জানিয়েছিলেন, পুলিশি তল্লাশি চলবে। সুতরাং কোনও ধন্দ থাকার কথা নয়।”

অন্য বিষয়গুলি:

Baruipur Police Baruipur Violence
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE