গ্রেফতার: পুলিশের জালে শম্ভু। রয়েছে সনাতন আর জ্যোতিও। নিজস্ব চিত্র
রাতে বাড়িতে ঢুকে এক যুবককে খুনে মূল অভিযুক্ত শম্ভু ভুইঁয়াকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুর গ্রামে শম্ভুর বাড়ি থেকেই তাকে ধরে পুলিশ।
সোমবার রাতে সাঁকরাইলের আড়গোড়ির বাসিন্দা তারক দাস নামে বছর ছাব্বিশের এক যুবক খুন হন। অভিযোগ, তাঁর স্ত্রী জ্যোতি এবং স্ত্রীর প্রেমিক শম্ভু মিলে খুনের পরিকল্পনা করে। খুনে সাহায্য করেছিল শম্ভু ও জ্যোতির বন্ধু সনাতন ভুইঁয়া নামে আর এক যুবক। জ্যোতি এবং সনাতনকে মঙ্গলবার সকালে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, মাস চারেক আগে শম্ভুর সঙ্গে ঘর ছাড়ে জ্যোতি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জিঞ্জিরাবাজারে দু’জনে একসঙ্গে থাকতে শুরু করে। এই সময়ই তাদের সঙ্গে আলাপ হয় সনাতনের। জিঞ্জিরাবাজার থেকে শম্ভুর সঙ্গে দিঘায় তার বাড়িতে চলে যায় জ্যোতি। সঙ্গে যায় সনাতনও। এইসময়ই একদিন তারক খবর পেয়ে দিঘা যান জ্যোতিকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য জ্যোতিকে নিয়েই বাড়ি ফেরেন তারক।
তারপর থেকেই তারককে খুনের ষড়যন্ত্র করে তাঁর স্ত্রী এবং শম্ভু। সঙ্গে নেয় সনাতনকে। সোমবার রাতে স্বামী এবং শাশুড়িকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দেয় জ্যোতি। দু’জনে ঘুমিয়ে পড়লে শম্ভু ও সনাতনকে ঘরে ঢোকায় জ্যোতি। জ্যোতি ও সনাতন তারকের পা চেপে ধরে। শম্ভু তাঁর মুখে বালিশ চাপা দিয়ে চপার দিয়ে গলার নলি কেটে দেয়। ঘটনাস্থলেই তাঁর
মৃত্যু হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy