Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

রাস্তা নিয়ে আন্দোলনে সিপিএম, শ্রীরামপুরে ফের অবরোধ

প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, নওগাঁ থেকে চণ্ডীত‌লা পর্যন্ত রাস্তা সংস্কারের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ২৫ কোটি টাকা।

প্রতিবাদ: পথ অবরোধ বামেদের। নিজস্ব চিত্র

প্রতিবাদ: পথ অবরোধ বামেদের। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শ্রীরামপুর শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০১৯ ০২:২৬
Share: Save:

রবিবার অবরোধ করেছিলেন সাধারণ বাসিন্দারা। সোমবার অবরোধ করলেন রাজনৈতিক দলের লোকেরা। ফলে, শ্রীরামপুরের নওগা থেকে সিঙ্গুরের বড়া পর্যন্ত ভাঙাচোরা রাস্তা সংস্কারের দাবিতে টানা দু’দিন বিক্ষোভ হল।

প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, নওগাঁ থেকে চণ্ডীত‌লা পর্যন্ত রাস্তা সংস্কারের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ২৫ কোটি টাকা। রাস্তাটির কাজের ওয়ার্ক অর্ডার হয়ে গিয়েছে। খানাখন্দ দ্রুত মেরামত করে দেওয়া হবে। বর্ষার পরে পুরোদমে কাজ হবে।

সোমবার সকাল ৯টা নাগাদ সিপিএমের তরফে অবরোধ করা হয়। অভিযোগ ওঠে, গত দু’বছর ধরে রাস্তাটি বেহাল হয়ে রয়েছে। রাস্তা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন হলে প্রশাসনের তরফে স্রেফ জোড়াতাপ্পি দিয়ে দায় সারা হয়েছে। কিছু দিন যেতে না যেতেই ফের খানাখন্দ তৈরি হয়ে গিয়েছে। কেন রাস্তাটি সংস্কার করা হচ্ছে না, সেই দাবিতে অবরোধকারীরা বিক্ষোভ দেখান। রাস্তাটি জিটি রোডের সঙ্গে দিল্লি রোড এবং দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েকে সংযুক্ত করেছে। অবরোধের জেরে গুরুত্বপূর্ণ ওই রাস্তায় গাড়ির লাইন পড়ে যায়। অফিসের ব্যস্ত সময়ে পথে বেরনো মানুষজন নাকাল হন। খবর পেয়ে শ্রীরামপুর থানার পুলিশ আসে। ঘণ্টা দেড়েক পরে অবরোধ ওঠে।

সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্যা এবং জেলা মহিলা সমিতির সম্পাদিকা দীপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, গত নভেম্বর মাসে এসএফআই এবং ডিওয়াইএফের তরফে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়। প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘‘সেই সময় প্রশাসনিক আধিকারিকেরা আমাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ওই কাজ করা হবে। কিন্তু তার পরেও ছ’মাস অতিক্রান্ত। কোনও কাজ হয়নি। জীর্ণ রাস্তায় দুর্ঘটনা বাড়ছে। সেই কারণেই আমাদের ফের আন্দোলনে নামতে হল।’’ তিনি আরও জানান, অবরোধ চলাকালীন তাঁদের জানানো হয়, রাস্তা সংস্কারের কাজের ওয়ার্ক অর্ডার হয়ে গিয়েছে। তখন অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ না হলে ফের তাঁরা রাস্তায় নামবেন বলে সিপিএম নেত্রী হুঁশিয়ারি দেন।

রাস্তাটির হাল নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা এবং নিত্যযাত্রী—সকলেই ক্ষুব্ধ। শ্রীরামপুর আদালতের আইনজীবী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাড়ি জনাইতে। তাঁর ক্ষোভ, ‘‘গত আড়াই দশক ধরে এই রাস্তা দিয়ে আদালতে যাতায়াত করি। গত তিন বছর ধরে রাস্তার যা পরিস্থিতি, তা আগে কখনও হয়নি।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী তো দিন কয়েক আগে মাহেশে এলেন। এই পথে এলে বুঝতে পারতেন, সাধারণ মানুষকে কী ভাবে চলতে হয়। রোগীদের কি অবস্থা হয়।’’

এক মাস আগে দুর্ঘটনায় মোটরবাইক আরোহীর মৃত্যুর জেরে স্থানীয় বাসিন্দারা দফায় দফায় এই রাস্তায় অবরোধ করেছিলেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Serampore CPM
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE