Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

সর্পদষ্ট ছাত্রের মৃত্যুতে স্কুলে বিক্ষোভ চণ্ডীতলায়

দিন দুয়েক আগে স্কুলের অফিস-ঘরের জানলা খুলতে গিয়ে সর্পদষ্ট হয়ে মারা যায় চণ্ডীতলার ভগবতীপুর মিলন মন্দিরেরর পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র দীপেন শী। ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার সেখানে ঘণ্টাদেড়েক বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসী। তাতে সামিল হন মৃতের মা যমুনাদেবীও।

তখন চলছে বিক্ষোভ। ছবিটি তুলেছেন দীপঙ্কর দে।

তখন চলছে বিক্ষোভ। ছবিটি তুলেছেন দীপঙ্কর দে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
চণ্ডীতল‌া শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০১৬ ০০:১০
Share: Save:

দিন দুয়েক আগে স্কুলের অফিস-ঘরের জানলা খুলতে গিয়ে সর্পদষ্ট হয়ে মারা যায় চণ্ডীতলার ভগবতীপুর মিলন মন্দিরেরর পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র দীপেন শী। ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার সেখানে ঘণ্টাদেড়েক বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসী। তাতে সামিল হন মৃতের মা যমুনাদেবীও। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ যায়। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, দীপেনকে দিয়ে জানলা খোলানো অনুচিত হয়েছে। হাসপাতালে নিয়ে যেতেও দেরি হয়েছে। গ্রামবাসীদের সঙ্গে বৈঠকের পরে স্কুল কর্তৃপক্ষ আপাতত দীপেনের পরিবারকে এক লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ এবং তার মাকে স্কুলে অস্থায়ী চাকরির আশ্বাস দেন। তার পরেই বিক্ষোভ থামে।

সর্পদষ্ট দীপেনকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেরির অভিযোগ মানেননি প্রধান শিক্ষক সুনীল পাল। তিনি বলেন, ‘‘আমরা শিক্ষকেরা আপাতত দীপেনের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে এক লক্ষ টাকা তুলে দেব। পরে আরও দেওয়ার চেষ্টা করব। ওর মাকে স্কুলে অস্থায়ী চাকরি দেওযা হবে।’’ একই সঙ্গে সুনীলবাবু জানান, এর পর থেকে স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে কথা বলে স্কুল চত্বর পরিচ্ছন্ন রাখা হবে। যাতে স্কুল‌ে সাপ না ঢুকতে পারে। স্কুলের রাস্তার ধারের ঝোপও পরিষ্কার করা হবে।

এক শিক্ষাকর্মীর কথামতো গত শনিবার স্কুলের অফিস-ঘরের জানলা খুলতে গিয়ে সর্পদষ্ট হয় দীপেন। স্কুলের তরফে তাকে প্রথমে চণ্ডীতলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে কলকাতার শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানো হয়। সেখানেই ছেলেটি মারা যায়। মৃত্যুর খবর চাউর হতেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। সোমবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ কয়েকশো গ্রামবাসী স্কুলে চড়াও হন। দীপেনের ছবি হাতে এসেছিলেন তার মা যমুনাদেবীও। গোলমাল আঁচ করে স্থানীয় সার্কেল ইনস্পেক্টর অসিতবরণ কুইল্যা পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে চলে আসেন।

বিক্ষোভকারীরা প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী প্রধান শিক্ষক দীপককুমার মাঝির শাস্তির দাবি তোলেন। তাঁদের অভিযোগ, সর্পদষ্ট হওয়ার পরে ছেলেটিকে এক ঘণ্টা স্কুলেরই ফেলে রাখা হয়েছিল। ছেলেটির অবস্থার কথা জানতে চাওয়ায় সে দিন সহকারী প্রধান শিক্ষক গ্রামবাসীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। বেগতিক বুঝে শিক্ষকেরা ক্লাসরুম ছেড়ে বেরোননি। পুলিশকে ঘিরেও বিক্ষোভ হয়। শেষ পর্যন্ত পুলিশই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এর পরেই স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেন গ্রামবাসী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Snake Bite Chanditala Student dies
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE