Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

গঙ্গার ঘাটে মিলল নিখোঁজ ছাত্রীর মৃতদেহ

পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন সন্ধ্যায় কলকাতা রিভার ট্র্যাফিক পুলিশ ওই তরুণীর দেহ শিবপুর রামকৃষ্ণপুর ঘাটের কাছে ভাসতে দেখে। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে উত্তর বন্দর থানায় নিয়ে যায়। এর পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তরুণীকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। 

গরিমা ধানুকা

গরিমা ধানুকা

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০২:২৯
Share: Save:

ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ টিউশন দিতে বেরিয়েছিলেন তরুণী। তার পর থেকে শুক্রবার দিনভর আর খোঁজ মেলেনি তাঁর। সারা দিন খোঁজের শেষে রাতে হাওড়ার শিবপুরের রামকৃষ্ণপুর ঘাটের কাছে পাওয়া গেল ওই তরুণীর দেহ। মৃতার নাম গরিমা ধানুকা (২০)। বাড়ি শিবপুর থানা এলাকার কলেজ রোডে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।

পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন সন্ধ্যায় কলকাতা রিভার ট্র্যাফিক পুলিশ ওই তরুণীর দেহ শিবপুর রামকৃষ্ণপুর ঘাটের কাছে ভাসতে দেখে। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে উত্তর বন্দর থানায় নিয়ে যায়। এর পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তরুণীকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, কলেজ রোডের ভাড়া বাড়িতে বাবা চাঁদ ধানুকা, মা কৃষ্ণা ধানুকা ও ভাই বাপি ধানুকার সঙ্গে থাকতেন তরুণী। মেধাবী ছাত্রী গরিমা কলেজে খুব ভাল ফল করার পরে চাটার্ড অ্যাকাউন্টেসি পড়ছিলেন। সেই সঙ্গে একটি সংস্থায় ইন্টার্নশিপ করছিলেন তিনি। গরিমার মামা ওমপ্রকাশ আগরওয়াল জানান, অন্য দিন গরিমা বাড়ি থেকে সাড়ে ছ’টা নাগাদ বেরোতেন। টিউশন দিয়ে ও ইন্টার্নশিপ করে বাড়ি ফিরতে রাত হয় যেত। এ দিন রোজের থেকেও বেশ কিছুটা আগে বেরোন তিনি। ওমপ্রকাশ বলেন, ‘‘বেরোনোর কিছু পরেই একটি দরকারে মেয়েকে ফোন করে কৃষ্ণা। তখন গরিমার ফোন বন্ধ ছিল। তার পরে ক্রমাগত চেষ্টা করেও ওকে আর ফোনে পাওয়া যায়নি। গরিমা যেখানে টিউশন দিতে যেত এবং যে অফিসে ইন্টার্নশিপ করত, সেখানেও ফোন করে জানা যায় ও পৌঁছয়নি।’’

এর পরেই শুরু হয় খোঁজ। গরিমার এক আত্মীয় জানান, খোঁজ-খবরের মাঝেই জানা যায় রামকৃষ্ণপুর ঘাটের কাছে এক তরুণীর দেহ ভাসতে দেখা গিয়েছে। তাঁরা ছুটে যান সেখানে। তত ক্ষণে উত্তর বন্দর থানার পুলিশ দেহ নিয়ে চলে গিয়েছে। এক স্থানীয় বাসিন্দা মোবাইলে ছবি তুলে রেখেছিলেন। সেটি গরিমার সঙ্গে মিলে যাওয়ায় উত্তর বন্দর থানায় যান তাঁর আত্মীয়েরা। সেখানেই শনাক্ত করা হয় গরিমার দেহ।

কী ভাবে ওই তরুণীর দেহ গঙ্গায় ভেসে এল, তদন্ত করছে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, দেহে বাইরে থেকে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। ময়না-তদন্তের পরেই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। গরিমার পরিবার জানিয়েছে, তাঁর সঙ্গে থাকা ব্যাগ, মোবাইল ফোন, সোনার দুল, ঘড়ি পাওয়া যাচ্ছে না। গরিমার এক প্রতিবেশী জানান, গরিমাকে খুবই মেধাবী ছাত্রী বলে জানতেন পাড়ার সকলে। তাঁর এ রকম পরিণতি দেখে আতঙ্কিত সকলে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Death Student Ganges
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE