প্রাণহাতে: বিক্ষুব্ধ অভিভাবকদের থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অভিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে। নিজস্ব চিত্র
এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে প্রাথমিক স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে বেধড়ক মারধর করলেন অভিভাবক ও গ্রামবাসী। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে সহদেব মণ্ডল নামে ওই শিক্ষককে উদ্ধার করে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উলুবেড়িয়ার নয়াচক জোয়াড়গড়ি করাতবেড়িয়া প্রাথমিক স্কুলের ঘটনা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ১১ টা নাগাদ স্কুলে এসে হাজির হন প্রায় আড়াইশো অভিভাবক। সেই সময় অফিসঘরে বসেছিলেন সহদেববাবু। অভিভাবকরা ঘরে ঢুকেই তাঁকে মারতে শুরু করেন। অভিভাবকদের অভিযোগ, বুধবার ক্লাস চলাকালীন সহদেববাবু প্রথম শ্রেণির এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করেছেন। ছুটির পরে বাড়ি গিয়ে ওই ছাত্রী তার মাকে বিষয়টি জানায়। মেয়েটির মায়ের কথায়, ‘‘এক রত্তি মেয়ের কাছে সব কথা শোনার পর আমি অন্যদের জানিয়েছিলাম। তারপর দল বেঁধে এলাম।’’
এ দিন অভিভাবকদের হাতে ছিল জুতো ও ঝাঁটা। মারের চোটে ওই শিক্ষক চেয়ার থেকে মাটিতে পড়ে যান। তাঁর চশমা ভেঙে যায়। ছিঁড়ে যায় জামা। সহদেববাবু কিছু বলতে চেষ্টা করলেও সে সুযোগ মেলেনি। অভিভাবকদের তাণ্ডবের চোটে ভয়ে সিঁটিয়ে ছিলেন অন্য শিক্ষক-শিক্ষিকারাও। ইতিমধ্যে খবর পেয়ে স্কুলে হাজির হয় পুলিশ। সহদেববাবুকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে তাঁকে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, সহদেববাবুর বাড়ি এই এলাকাতেই। এই স্কুলে তিনি চাকরি করছেন প্রায় কুড়ি বছর। আর কয়েক বছরের মধ্যেই অবসর নেবেন তিনি। অভিভাবকেরা এ দিন উলুবেড়িয়া থানায় সহদেববাবুর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ জানিয়েছেন। তবে চিকিৎসাধীন ওই শিক্ষকের দাবি, ‘‘সব মিথ্যা। চক্রান্ত করে আমাকে মারা হয়েছে।’’ পুলিশ জানিয়েছে, ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy