দেবশ্রী পাল।
ডেঙ্গিতে এ বার ডোমজুড়ের এক যুবতীর মৃত্যু হল।
শুক্রবার দুপুরে দেবশ্রী পাল (২২) নামে উত্তর ঝাঁপরদহ পঞ্চায়েতের জেলেপাড়া গ্রামের ওই যুবতীর মৃত্যু হয় আন্দুল রোডের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। হাসপাতালের পক্ষ থেকে যে মৃত্যুর শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে, তাতে মৃত্যুর কারণ হিসাবে ডেঙ্গির কথা বলা হয়েছে।
হাওড়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভবানী দাস বলেন, ‘‘শুনেছি একজনের ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছে। তবে যে বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটেছে, তাদের সব কাগজপত্র স্বাস্থ্যভবনে পাঠাতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্যভবন কাগজপত্র খতিয়ে দেখার পরেই সরকারি ভাবে এ বিষয়ে মন্তব্য করা হবে।’’ তিনি অবশ্য জানিয়েছেন, ওই হাসপাতালে যাওয়ার আগে যুবতীকে ডোমজুড় গ্রামীণ হাসপাতালে ডেঙ্গির লক্ষণ নিয়েই ভর্তি করানো হয়েছিল।
মৃতের পারিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দেবশ্রী ডোমজুড়েই একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করতেন। ২৮ নভেম্বর তিনি জ্বর নিয়ে বাড়ি ফেরেন। বাড়ির লোকেরা তাঁকে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো কয়েকটি পরীক্ষায় যুবতীর ডেঙ্গি ধরা পড়ে। তাঁকে ৩০ নভেম্বর ডোমজুড় গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে তিনি চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছিলেন বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর। কিন্তু ৩ ডিসেম্বর আচমকা তাঁর অবস্থার অবনতি হয়। তাঁকে ‘রেফার’ করা হয় হাওড়া জেলা হাসপাতালে। পরিবারের লোকজন অবশ্য সেখানে না গিয়ে আন্দুল রোডের ওই বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করিয়ে দেন। শুক্রবার বেলা ১২টা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়।
মৃতের মেজো জামাইবাবু কৃশানু পাল বলেন, ‘‘ডোমজুড় গ্রামীণ হাসপাতালে দেবশ্রীর অবস্থার উন্নতি হচ্ছিল দেখে মনে আশার সঞ্চার হয়েছিল। কিন্তু আচমকা ওঁর অবস্থার অবনতি হয়। আর ওঁকে ফেরানো গেল না।’’ এলাকার আর্জনা নিয়মিত সাফ হয় না বলে গ্রামবাসীর ক্ষোভ ছিল। মশার উপদ্রব নিয়েও অভিযোগ ছিল। যুবতীর মৃত্যুর পরে অবশ্য শুক্রবার বিকেলেই পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে ওই এলাকায় মশা মারার তেল ও ব্লিচিং পাউডার ছড়ানো হয়। আবর্জনাও সাফ করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy