Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

জরিমানা মকুবের দাবি, বিক্ষোভ টোল প্লাজায়

অতিরিক্ত পণ্য পরিবহণে জরিমানা আদায় করায় টোলপ্লাজা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন ট্রাক চালক ও মালিকেরা। মঙ্গলবার সকালে ডেবরা টোলপ্লাজায় ওই বিক্ষোভের জেরে প্রায় আধ ঘণ্টা অবরুদ্ধ হয়ে রইল কলকাতা-মুম্বই ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক।

বিক্ষোভ চলাকালীন ভাঙচুর চলে ডেবরা টোলপ্লাজার কাউন্টারে। —নিজস্ব চিত্র।

বিক্ষোভ চলাকালীন ভাঙচুর চলে ডেবরা টোলপ্লাজার কাউন্টারে। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
খড়্গপুর শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০১৫ ০০:২৭
Share: Save:

অতিরিক্ত পণ্য পরিবহণে জরিমানা আদায় করায় টোলপ্লাজা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন ট্রাক চালক ও মালিকেরা। মঙ্গলবার সকালে ডেবরা টোলপ্লাজায় ওই বিক্ষোভের জেরে প্রায় আধ ঘণ্টা অবরুদ্ধ হয়ে রইল কলকাতা-মুম্বই ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক।

গত ১ এপ্রিল থেকে ভারী যানবাহনে অতিরিক্ত পণ্য পরিবহণে রাশ টানতে জরিমানা চালু হয়েছে। একটি গাড়িতে বাড়তি পণ্য পরিবহণ করলে জরিমানা বাবদ দশগুন মাসুল দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এতেই বেঁকে বসেছেন ট্রাক মালিকরা। তাঁদের অভিযোগ, একটি ট্রাকে বোঝাই পণ্য মাপার নানা জটিলতার সুযোগ নিয়ে জোর করে জরিমানা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাই জরিমানা মকুবের দাবিতেই এ দিন বিক্ষোভ দেখানো হয়। টোল প্লাজায় ভাঙচুর চালানো হয় বলেও অভিযোগ।

ডেবরার এই টোলপ্লাজা সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনার জন্য বছর দুয়েক আগে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ একটি সংস্থাকে ২৫ বছরের জন্য লিজ দিয়েছে। তবে কখনও কর্মী অসন্তোষ তো কখনও চালকের ক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে টোলপ্লাজা কর্তৃপক্ষকে। এর পিছনে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের একটি গোষ্ঠী সক্রিয় বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেলেও এর দায় নিতে নাজার দলীয় নেতৃত্ব। এ দিন বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ ওই টোলপ্লাজায় স্থানীয় কিছু মানুষের সঙ্গেই চড়াও হন ট্রাক মালিকেরা। গত ৩১ মার্চ বিভিন্ন সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ১ এপ্রিল থেকে সব যানবাহনের উপর শুল্ক বৃদ্ধির কথা জানানো হয়। অতিরিক্ত পণ্য পরিবহণে দশগুণ টাকা জরিমানা হবে বলেও জানানো হয়েছিল। সেই নিয়ম কার্যকর করতে গিয়েই ট্রাক চালকদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে টোল কর্তৃপক্ষকে।

এ দিন জরিমানা প্রত্যাহারের দাবিতে স্লোগান ওঠে। অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে টোল গেট। জাতীয় সড়কে দাঁড়িয়ে যায় একাধিক গাড়ি। আসেন টোল কর্তৃপক্ষ। বাদানুবাদ চলাকালীন টোল প্লাজায়ভাঙচুর চালানো হয় বলেও অভিযোগ। কাউন্টারের কিছু কাচ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। পরে পুলিশ পৌঁছলেও অবরোধ তোলা যায়নি। পরে খড়্গপুর থেকে আসেন এসডিপিও সন্তোষ মণ্ডল। তাঁর আশ্বাসে শেষমেশ অবরোধ ওঠে। তবে আধঘন্টার অবরোধেই জাতীয় সড়কে প্রবল যানজট হয়।

ডেবরা টোল প্লাজার ম্যানেজার সঞ্জয় রায় বলেন, ‘‘আমরা অতিরিক্ত পণ্য পরিবহণের বিরুদ্ধে। তাই দশগুন জরিমানার কথা বিজ্ঞপ্তি দিয়েই জানানো হয়েছে। সাত দিন আগে থেকে প্রতিটি ট্রাকের চালককে লিফলেটও দেওয়া হয়েছে। গোলমাল হতে পারে আঁচ করে জেলা প্রশাসনেও বিষয়টি জানানো হয়েছিল।’’ যদিও মহকুমাশাসক সঞ্জয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘ডেবরা টোল প্লাজায় কী হয়েছে আমার জানা নেই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE