Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus

স্বেচ্ছায় গৃহ পর্যবেক্ষণে গেলেন দুই চিকিৎসক  

জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক সূত্রে জানা গিয়েছে, মেদিনীপুর মেডিক্যালে আসার আগে, বাড়ি ফেরার আগে-পরে ওই যুবক পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, দাসপুর গ্রামীণ হাসপাতাল এবং ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে গিয়েছেন।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০২০ ০২:৫৯
Share: Save:

দাসপুরের করোনা আক্রান্ত যুবকের স্ত্রী, মা, দাদা, বৌদি সহ তাঁর প্রত্যক্ষ সংস্পর্শে আসা ৬ জন পরিজন এখন গৃহ পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। বুধবারও তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। এ ছাড়া মেদিনীপুর মেডিক্যালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন তাঁর বাবার করোনা পরীক্ষার জন্য লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। যুবকের পরোক্ষ সংস্পর্শে আসা চিকিৎসক, নার্স, কর্মীদের চিহ্নিত করা হয়েছে। পরোক্ষ সংস্পর্শে আসা অন্যদেরও খোঁজ চলছে।

জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক সূত্রে জানা গিয়েছে, মেদিনীপুর মেডিক্যালে আসার আগে, বাড়ি ফেরার আগে-পরে ওই যুবক পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, দাসপুর গ্রামীণ হাসপাতাল এবং ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে গিয়েছেন। ওই হাসপাতালগুলিতে তিনি কাদের সংস্পর্শে এসেছেন, সেই খোঁজ মিলেছে বলেই ওই সূত্রে খবর। এই সংস্পর্শ অবশ্য প্রত্যক্ষ নয়, পরোক্ষ। স্বাস্থ্য দফতর প্রাথমিকভাবে জেনেছে, পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে গিয়ে ৮ জনের সংস্পর্শে এসেছেন ওই যুবক। এরমধ্যে ১ জন চিকিৎসক, ২ জন নার্স, ২ জন কর্মী, ৩ জন নিরাপত্তারক্ষী। দাসপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ২ জন চিকিৎসকের সংস্পর্শে এসেছেন তিনি। ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে ১০ জনের সংস্পর্শে এসেছেন তিনি। এরমধ্যে ৪ জন চিকিৎসক, ৩ জন নার্স, ৩ জন কর্মী। সূত্রের খবর, ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত যুবকের পরোক্ষ সংস্পর্শে আসা চিকিৎসকদের মধ্যে ২ জন চিকিৎসক বুধবার থেকে স্বেচ্ছায় গৃহ নজরবন্দি হয়েছেন। তাঁরা এ দিন হাসপাতালে আসেননি। এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সদুত্তর এড়িয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা বলেন, ‘‘ঘাটালের দু’জন চিকিৎসক সাময়িক ছুটি চেয়েছেন।’’

আর কারা ওই যুবকের পরোক্ষ সংস্পর্শে এসেছেন, তার তালিকা তৈরির চেষ্টা করছে স্বাস্থ্য দফতর বলে জানা গিয়েছে। তবে বুধবার পর্যন্ত অনেকের খোঁজ মেলেনি। করোনা আক্রান্ত ওই যুবক মুম্বই-শালিমার কুরলা এক্সপ্রেসে পাঁশকুড়া আসেন। ওই ট্রেনের জেনারেল কামরায় ছিলেন তিনি। ওই কামরায় থাকা অন্য যাত্রীদের খোঁজ চলছে। পাঁশকুড়ায় নেমে তিনি ভাড়ার গাড়িতে দাসপুরের গৌরা পর্যন্ত যান। ওই গাড়ির চালক-সহ বাকি যাত্রীদেরও এখনও খোঁজ মেলেনি।

বুধবার জেলার এক স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, ‘‘শুরুতে আমাদের ওই যুবকের বাবাকে নিয়েই গভীর উদ্বেগ ছিল। কারণ যুবকটি বাবার সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ থেকেছেন। এখন ওই যুবকের স্ত্রীকে নিয়েও উদ্বেগ হচ্ছে। কারণ জানা গিয়েছে, বাড়ি ফেরার দিনে অর্থাৎ, ২২ মার্চ রাতে তিনি স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস করেছেন। স্ত্রী স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছে নিজেই এ কথা জানিয়েছেন।’’ ওই স্বাস্থ্য আধিকারিক জানাচ্ছেন, তবে স্ত্রীর শরীরে এখনও করোনার কোনও উপসর্গ নেই। প্রয়োজনে তাঁকে হাসপাতালের আইসোলেশনে পাঠানো হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE