Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus

বৃদ্ধের চিকিৎসা, করোনা আক্রান্ত

শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বাসিন্দা বছর পঞ্চাশের ওই চিকিৎসককে গত ২ এপ্রিল থেকে তমলুক জেলা হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা হয়েছিল।

মেচগ্রামের করোনা হাসপাতালে আক্রান্ত গ্রামীণ চিকিৎসক। —নিজস্ব চিত্র।

মেচগ্রামের করোনা হাসপাতালে আক্রান্ত গ্রামীণ চিকিৎসক। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
তমলুক শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২০ ০১:১৭
Share: Save:

করোনা আক্রান্ত তমুলকের বৃদ্ধের চিকিৎসা করা গ্রামীণ চিকিৎসকের শরীরেও মিলল ভাইরাসের উপস্থিতি। তাঁকে পাঁশকুড়ার বড়মা করোনা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বাসিন্দা বছর পঞ্চাশের ওই চিকিৎসককে গত ২ এপ্রিল থেকে তমলুক জেলা হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা হয়েছিল। তমলুকের যে বৃদ্ধ আগে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁর সংস্পর্শে এসেছিলেন তিনি। চিকিৎসক এবং বৃদ্ধের সংস্পর্শে আসা পাঁচ জনের লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। শুক্রবার রাতে চিকিৎসকের করোনা পজ়িটিভ রিপোর্ট এসেছে। বাকি চারজনের রিপোর্ট নেগেটিভ।

শনিবার সকালেই গ্রামীণ চিকিৎসকে তমলুক জেলা হাসপাতাল থেকে পাঁশকুড়ার মেচগ্রামে করোনা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা আগে। এর আগে জেলায় যতজন আক্রান্ত হয়েছেন তাঁরা কলকাতার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘গ্রামীণ চিকিৎসককে পাঁশকুড়ার করোনা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তবে তমলুকের বৃদ্ধের চিকিৎসায় যুক্ত শহরের আর এক চিকিৎসক, দুই পরিচারক-সহ চার জনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।’’

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, করোনা রিপোর্ট পজ়িটিভ আসার পরেই গ্রামীণ চিকিৎসকের স্ত্রী এবং চার বছরের শিশু পুত্রকে তমলুক জেলা হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। চিকিৎসক গত ২৫ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত নিজের এলাকার যাঁদের চিকিৎসা করেছিলেন, তাঁদেরও চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই সংখ্যাটা ২৭৫ জন। ওই ব্যক্তিদের প্রথমে এলাকা থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরের তিনটি স্কুলে নিয়ে গিয়ে কোয়রান্টিনে রাখার পরিকল্পনা করেছিল ব্লক প্রশাসন এবং‌ স্বাস্থ্য দফতর। কিন্তু বাসিন্দাদের সেখান নিয়ে যেতে কোনও গাড়ি পাওয়া যায়নি বলে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে জানা গিয়েছে। তাই শেষমেশ ওই ব্যক্তিদের হোম কোয়রান্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে বল্লুক-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শরৎ মেট্যা বলেন, ‘‘কোনও গাড়ি চালক চিহ্নিত করা ব্যক্তিদের নিয়ে যেতে রাজি হয়নি। তাই আপাতত ওঁদের হোম কোয়রান্টিনে থাকতে বলা হয়েছে।’’ মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, ‘‘গ্রামীণ চিকিৎসকের চিকিৎসা করা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে কোয়রান্টিনে রাখার ব্যবস্থা হয়েছে।’’

অন্যদিকে, শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের পান ব্যবসায়ী তথা করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধ কলকাতার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তাঁর পরিবারের সদস্য-সহ ১২ জনকে পাঁশকুড়া সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। শুক্রবার তাঁদের সকলেরও লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য কলকাতায় পাঠানো হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health Tamluk
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE