Advertisement
০২ মে ২০২৪
সতর্কতা বিধি শিকেয়
Coronavirus

রেশন বিলি ঘিরে বিক্ষোভ

গরিব পরিবারগুলিকে চাল, গম, আটা প্রভৃতি খাদ্য সামগ্রী রেশনে বিনামূল্যে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া, যে গরীব পরিবারের এখনও রেশন কার্ড নেই তাঁদের বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী দেওয়ার জন্য কুপন দেওয়া হচ্ছে  দিন থেকে

উধাও সতর্কতা বিধি। দোকানের সামনে এ ভাবেই দাঁড়িয়ে রেশন তুলতে দেখা গেল মানুষকে। বুধবার। নিজস্ব চিত্র

উধাও সতর্কতা বিধি। দোকানের সামনে এ ভাবেই দাঁড়িয়ে রেশন তুলতে দেখা গেল মানুষকে। বুধবার। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
তমলুক শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০২০ ০৩:২৫
Share: Save:

সরকারি নির্দেশ মতো লকডাউনে রেশনে খাদ্য সামগ্রী বিলি শুরু হয়েছে বুধবার থেকে। ওই খাদ্য সামগ্রী বিলির ক্ষেত্রের জেলা সদর-সহ বিভিন্ন এলাকায় সতর্কতা বিধি ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে। কোথাও তো আবার সাময়িক বিক্ষোভের জেরে বন্ধ হয়ে যায় রেশন বিলি।

গরিব পরিবারগুলিকে চাল, গম, আটা প্রভৃতি খাদ্য সামগ্রী রেশনে বিনামূল্যে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া, যে গরীব পরিবারের এখনও রেশন কার্ড নেই তাঁদের বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী দেওয়ার জন্য কুপন দেওয়া হচ্ছে দিন থেকে। সকাল থেকে জেলার সমস্ত রেশন দোকানে খাদ্যসামগ্রী নেওয়ার জন্য বাসিন্দারা লাইনে দাঁড়ান। কিন্তু কোথাও রেশন দোকানের সামনে অপ্রশস্ত জায়গার কারণে লাইনে দাঁড়ানো বাসিন্দারা নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখতে পারেননি।

এদিন তমলুকের শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের খারুই-২ পঞ্চায়েত এলাকার হুড়িনান গ্রামের রেশন ডিলার শ্যামল রাণার দোকানে একদল বাসিন্দা বিক্ষোভ দেখান। তাতে সকালে রেশন বিলি বন্ধ থাকে। বাসিন্দাদের একাংশ অভিযোগ, খাদ্য সামগ্রী বরাদ্দের যে তালিকা দোকানে টাঙানো হয়েছে তাতে খাদ্য দফতরের অফিসারের স্বাক্ষর নেই। তাই তালিকার বৈধতা নেই। শেষ পর্যন্ত বিডিও ও পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষের ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন এবং খাদ্য পরিদর্শকের সই করা তালিকা পাঠানো হয়। দুপুর থেকে রেশন বণ্টন শুরু হয়।

তমলুক ব্লকের শ্রীরামপুর এলাকায় রেশন ডিলার গোকুল হাইতের দোকানে এ দিন সকালে বাসিন্দারা রেশন সামগ্রী নেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়ান। কিন্তু রেশন কার্ড ছাড়াই একদল বাসিন্দা এসে দাবি করেন, তাঁদের জন্য সরকার যে খাদ্য সামগ্রী বরাদ্দ করেছে, তা এদিনই দিতে হব। ওই বাসিন্দাদের বিক্ষোভে রেশন বিলি কিছু সময় বন্ধ রাখতে হয়। ডিলাদের সংগঠন ‘ওয়েস্টবেঙ্গল এমআর ডিলারস অ্যসোসিয়েশনের জেলা সম্পাদক মাধব পাঁজা বলেন, ‘‘তমলুকের দু’টি রেশন দোকানে কিছুটা গোলমালের ঘটনা ছাড়া জেলায় নির্বিঘ্নে রেশন বণ্টন হয়েছে।’’

সুতাহাটা, বরদা, জয়নগর গ্রামে মানা হয়নি বিধি নিষেধ। বহু মানুষের সমাগম হয়। শুধু তাই নয়, এলাকায় রেশন দালালদেরও দেখা যায় বলে অভিযোগ। দাবি, তারা রেশনের সামগ্রী বাইরে বিক্রি করেছে। সুতাহাটা পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি তাপস মাইতি বলেন, ‘‘এটা দুর্ভাগ্যের যে এই সময়ে দালালদের উপস্থিতি দেখা গিয়েছে। আমরা মানুষদের বোঝাচ্ছি যে, এটা না করতে। ভবিষ্যতে এই চাল কাজে লাগবে।’’

রেশন বিলি নিয়ে জেলার খাদ্য নিয়ামক সৈকত চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বড় কোনও গোলমালের অভিযোগ আমাদের কাছে আসেনি। জেলায় প্রায় ৮০ হাজার বাসিন্দাকে রেশন দেওয়ার জন্য কুপন দেওয়া হবে। কুপন বিলির পরে ১০ এপ্রিল থেকে রেশন সামগ্রী দেওয়া শুরু হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health Coronavirus Lockdown
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE