Advertisement
০৮ মে ২০২৪
Owl

লকডাউনে সংসার ঘরের কোণে, ঠাঁই বন দফতরে

পটাশপুর-১ ব্লকের মংলামাড়ো বাজারে সুদীপ্ত মাইতি নামে এক ব্যক্তির  পাকা বাড়ির তৈরি হচ্ছে।

পেঁচা পরিবার। নিজস্ব চিত্র

পেঁচা পরিবার। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
পটাশপুর শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২০ ০২:০৫
Share: Save:

লকডাউনে বন্ধ ঘরের কোণে নিশ্চিন্তে সংসার পেতেছিল। চার ছানাপোনা নিয়ে মা পেঁচার ভরা সংসার ভালই কাটছিল। কিন্তু ঘরের কোণার সংসার ছেড়ে বুধবার তাদের ঠাঁই হল বন দফতরের খাঁচায়!

পটাশপুর-১ ব্লকের মংলামাড়ো বাজারে সুদীপ্ত মাইতি নামে এক ব্যক্তির পাকা বাড়ির তৈরি হচ্ছে। তবে বর্তমানে সেই কাজ বন্ধ। লকডাউনে কাজ বন্ধের সুযোগে ফাঁকা বাড়ির তিন তলায় ঘরের ভিতরের কার্নিসে দু’টি লক্ষ্মী পেঁচা বাসা বাঁধে। পেঁচা দেবী লক্ষ্মীর বাহন, তাই তার বাসা সরিয়ে দেয়নি মাইতি পরিবার। ধীরে ধীরে পেঁচা পরিবারের নিরাপত্তার জন্য তারা বাসার চারদিকে বাঁশ দিয়ে চালা করে দেয়। ওই ঘরের দরজাও বন্ধ করে রাখা হত। লকডাউন পর্বে পেঁচার চারটি ছানা জন্মায়। নিয়ম করে সেই ছানাদের দেখভাল করতেন মাইতি পরিবারের সদস্যেরা।

এখন ছানাগুলি অনেকটা বড় হয়েছে। খাবারের জন্য ভোররাত থেকে শুরু হয় তাদের চিৎকার। সম্প্রতি পেঁচাদের ঘরে ফের কাজ শুরু হয়েছে। তাই পেঁচা পরিবারের কথা ভেবে বনদফতরে খবর দেওয়া হয়। সেই মতো বুধবার পেঁচাগুলিকে বন দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এগরা বন দফতরের আধিকারিক প্রবীর সেন বলেন, ‘‘প্রতিটি পেঁচায় সুস্থ রয়েছে।’’

এদিকে, প্রায় সাত মাস ধরে বাড়িতে থাকার ফলে সুদীপ্তদের পরিজনের পাখিগুলির প্রতি মায়া পড়ে গিয়েছে। তাই এ দিন বন দফতরের হাতে পেঁচা তুলে দেওয়ার সময় মনখারাপ তাঁদের অনেকেরই। সুদীপ্তর কথায়, ‘‘ছোটবেলা থেকে পশুপাখি সংরক্ষণ নিয়ে আমার একটু আগ্রহ আছে। তাই পেঁচাগুলিকে তাড়িয়ে দিইনি। ওরাও পরিবারের সদস্য হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এখন সংরক্ষণের কথা ভেবে বন দফতরের হাতে তুলে দিয়েছি। মন খারাপ অবশ্য হচ্ছে। কিন্তু ভালও লাগছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Owl Forest Department patashpur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE