শম্পা মণ্ডল।
ক্লাসঘরেই উদ্ধার হল অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ। কেশিয়াড়ি কন্যা বিদ্যাপীঠের ছাত্রী শম্পা মণ্ডলের (১৪) দেহ মেলে সোমবার। সে হস্টেলে থাকত। ঘটনায় শোরগোল পড়ে। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে। তবে কী কারণে মৃত্যু তা এখনও স্পষ্ট নয়।
এ দিন কেশিয়াড়ির ওই স্কুলে সরস্বতী প্রতিমার বিসর্জন ছিল। সবাই তা নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন। দুপুরে কয়েকজন ছাত্রী শিক্ষিকাদের জানায়, শম্পার ঝুলন্ত দেহ পাওয়া গিয়েছে। মূল ভবনের পিছনে তিনতলায় ২৫ নম্বর ঘরের সিলিং ফ্যান থেকে গলায় গামছার ফাঁসে ঝুলছিল শম্পা। কেশিয়াড়ি থানায় ও ওই ছাত্রীর বাড়িতে খবর দেওয়া হয়। শম্পার বাড়ি সবংয়ের খেলনা গ্রামে। পঞ্চম শ্রেণি থেকে সে হস্টেলে থাকত। শম্পার মেসোমশাই তপন গিরি বলেন, ‘‘কী কারণ জানি না। তবে ঘটনা মোটেও স্বাভাবিক নয়।’’ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা কল্পনা আগস্তি বলেন, ‘‘ছোটখাটো সমস্যা থাকতেই পারে। কিন্তু এই ঘটনা কেন ঘটল বোঝা যাচ্ছে না।’’
কেশিয়াড়ির সুন্দরাড়ে শম্পার মাসির বাড়ি। ছুটির সময় মাঝে মাঝে সে মাসির বাড়িতে যেত। এ দিনও শম্পা মেসোমশাইকে ফোন করেছিল স্কুল থেকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। কিন্তু তপন চাষের কাজে ব্যস্ত থাকায় যেতে পারবেন না বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু পরিবার সূত্রে খবর, শম্পার কাছে মোবাইল ছিল না। ফলে, সে কোথা থেকে ফোন করল, প্রশ্ন উঠেছে। তপন বলেন, ‘‘ওই নম্বরে পরে ফোন করলেও কেউ ধরেনি।’’ মাঝে মাঝে বিদ্যালয়ে এসে মেয়েদের সঙ্গে দেখা করতে না দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন তিনি। মৃত ছাত্রীর বাবা সুশান্ত মণ্ডল বলেন, ‘‘একবার স্কুলে ফুল ছিঁড়ে দিয়েছিল বলে মেয়েকে খুব মেরেছিল। মৃত্যুর নিরপেক্ষ তদন্ত করে দেখুক পুলিশ।’’
স্কুলের হস্টেলে প্রায় তিনশো ছাত্রী থাকে। শম্পা ‘লাবণী ভবন’-এর একটি ঘরে থাকত। জানা গিয়েছে, সাজগোজ নিয়ে কয়েকজন সহপাঠীর সঙ্গে ঝগড়া হয়েছিল। এক ছাত্রী বলে, ‘‘ঝগড়া হয়েছিল শুনেছি। মেকআপ বক্স নিয়েই ঝগড়া হয়।’’ তবে পরে মিটমাট হয়ে গিয়েছিল বলেই জানা গিয়েছে। হস্টেলের দায়িত্বে থাকা অনিমা সাউ বলেন, ‘‘সকালে মেয়েদের মধ্যে শম্পাকে দেখা গিয়েছিল। পরে খাওয়ার সময় থেকে আর ওকে দেখতে পাওয়া যাচ্ছিল না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy