বিতর্কিত লিফলেট। নিজস্ব চিত্র
শিল্পশহরে ফের কাঠগড়ায় তৃণমূলের শ্রমিক নেতা। এ বার কাটমানির অভিযোগে ছড়াল লিফলেট।
আমপানে সাহায্যের নাম করে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র নেতা আইওসি-তে রসিদ ছাড়া টাকা নিচ্ছেন বলে ইতিমধ্যেই অভিযোগ উঠেছে। এ বার অভিযোগ, শাকদলের শ্রমিক নেতা শঙ্কর জানা এবং তাঁর সহযোগী বকুল তুঙ্গ কাটমানি নেন। টাকার বিনিময়ে শ্রমিকদের কাজে ঢোকান তাঁরা। এ ছাড়া, শ্রমিকদের থেকে নানা ছুতোয় টাকা আদায় করেন। আর বিশ্বকর্মা পুজোয় যে টাকা তোলা হয়, তার তো কোনও হিসেবই থাকে না।
তোলাবাজির এই টাকার জোরে শঙ্কর ওরফে পিন্টু এবং বকুল ফুলেফেঁপে কোটিপতি হয়ে উঠেছেন বলেও দাবি করা হয়েছে লিফলেটে। দুই নেতার সম্পত্তির কিছু বিবরণও দেওয়া রয়েছে। নেতা-মন্ত্রীকে জানিয়েও সুরাহা হয়নি বলে দাবি করা হয়েছে আদানি শ্রমিকবৃন্দের নামে প্রচারিত ওই লিফলেটে।
হলদিয়ার আদানি শিল্প সংস্থায় আইএনটিটিইউসি-র মাথা এই শঙ্কর। তাঁরই সহযোগী বকুল। অভিযোগ, ৯ বছর আগে রীতিমতো আর্থিক দুর্দশায় ছিলেন তাঁরা। কিন্তু তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরে ক্রমে বাড়ি, গাড়ি, ইটভাটার মালিক হয়েছেন। তৃণমূলকে সত্যি ভালবাসেন বলেই এই সব তথ্য প্রচার করছেন বলেও লিফলেটে আদানি শ্রমিকবৃন্দেক তরফে দাবি করা হয়েছে।
অভিযুক্ত শঙ্কর অবশ্য বলেন, ‘‘সব মিথ্যা অভিযোগ। বিজেপি চক্রান্ত করে কুৎসা ছড়াচ্ছে।’’ আইএনটিটিইউসি-র পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কার্যকরী সভাপতি শিবনাথ সরকারের বক্তব্য, ‘‘লিফলেট প্রসঙ্গে মন্তব্য করব না। যদি কারও নির্দিষ্ট অভিযোগ থাকে দলের রীতিনীতি মেনে অভিযোগ করুক।’’ গেরুয়া শ্রমিক সংগঠনের নেতা প্রদীপ বিজলি পাল্টা বলছেন, ‘‘তৃণমূলের নেতারা হলদিয়ার প্রত্যেকটি শিল্পসংস্থার গেটেই কাটমানি নিয়ে দাদাগিরি করেন। শ্রমিকদের ক্ষোভ দীর্ঘদিনের। নেহাত চাকরি যাবে বলে প্রকাশ্যে বলতে পারছেন না। তাই এই লিফলেট।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy