Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

জোট গড়ে ভোটে ঝাড়খণ্ডী দুই দল

বুধবার ঝাড়গ্রামে দু’দলের এক যৌথ বৈঠকে এই জোটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ দিন কয়েক দশক পরে চুনিবালার পাশে বসে সাংবাদিক বৈঠক করতে দেখা গিয়েছে ঝাড়খণ্ড অনুশীলন পাটির সভাপতি আদিত্য কিস্কুকে।

জোট-বেঁধে: চুনিবালা ও আদিত্য। নিজস্ব চিত্র

জোট-বেঁধে: চুনিবালা ও আদিত্য। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০১৯ ০৫:১৭
Share: Save:

সাঁওতালি সিনেমার নায়িকা বিবরাহা হাঁসদা কি ভোটে লড়ছেন? জল্পনা জিইয়ে রাখলেন বিরবাহার মা ঝাড়খণ্ড পার্টি (নরেন)-এর সভানেত্রী চুনিবালা হাঁসদা। তবে দীর্ঘ বিরোধ মিটিয়ে ঝাড়খণ্ড অনুশীলন পার্টি এবং ঝাড়খণ্ড পার্টি (নরেন) জানিয়ে দিল, এ বারের লোকসভা ভোটে জোট গড়ে লড়বে তারা।

বুধবার ঝাড়গ্রামে দু’দলের এক যৌথ বৈঠকে এই জোটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ দিন কয়েক দশক পরে চুনিবালার পাশে বসে সাংবাদিক বৈঠক করতে দেখা গিয়েছে ঝাড়খণ্ড অনুশীলন পাটির সভাপতি আদিত্য কিস্কুকে। আদিত্য আগে ছিলেন চুনিবালার দলে। মতবিরোধের কারণে ২০০০ সালে চুনিবালার দল ছেড়ে বেরিয়ে গিয়ে পরে ঝাড়খণ্ড অনুশীলন দল গড়েন আদিত্য।

কেন এতদিন পরে জোট গড়ে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত? ঝাড়খণ্ড অনুশীলন পার্টির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অসিত খাটুয়া বলেন, ‘‘শাসকদল সহ বড় রাজনৈতিক দলগুলি জঙ্গ‌লমহলের আদিবাসী-মূলবাসীদের উন্নয়নের নামে বিভাজনের রাজনীতি করছে। ঢোল-ধমসা দিয়ে কখনও আদিবাসীদের উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই দু’টি দলের জোট করা অনিবার্য হয়ে উঠেছে।’’ যৌথ সাংবাদিক-বৈঠকে চুনিবালা ও আদিত্য জানান, তাঁদের দু’টি দল জোট করে ঝাড়গ্রাম ও বাঁকুড়া আসনে প্রার্থী দিচ্ছেন। জঙ্গলমহলের অন্যান্য আসনগুলিতেও ঝাড়খণ্ডী মনোভাবাপন্ন প্রার্থীদের সমর্থন করা হবে। আগামী ১ এপ্রিল ফের দু’দলের বৈঠকে বসে আলোচনা করে ঝাড়গ্রাম ও বাঁকুড়া কেন্দ্রে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হবে।

প্রাথমিক ভাবে বিরবাহা জানিয়েছিলেন, তিনি প্রার্থী হবেন। চুনিবালার বক্তব্য ছিল, তিনি দলের অন্যদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন। কিন্তু এ দিনের জোটের পরে পরিস্থিতি কী হবে, দু’দল সর্বসম্মত ভাবে ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রে বিরবাহাকেই প্রার্থী হিসাবে মনোনীত করবে কি না, তা স্পষ্ট করেনি কোনও পক্ষই। ঝাড়খণ্ড পার্টি (নরেন)-এর সম্পাদক হলেন বিরবাহা। যদিও এ দিনের যৌথ বৈঠকে তিনি ছিলেন না। বিরবাহা ছবির শ্যুটিংয়ে বাইরে আছেন। ৩০ মার্চ ফিরবেন।

কিন্তু আদিত্য-চুনিবালারা জোট করে প্রার্থী দিলে আদিবাসী ভোট বিভাজনের সুযোগ পেয়ে তৃণমূলেরই কি লাভ হবে? চুনিবালা ও আদিত্য বলছেন, ‘‘আমরা নিজেদের সুবিধার জন্য, নিজেদের অস্তিত্বকে বজায় রাখার জন্য প্রার্থী দিচ্ছি। আমরা কেন্দ্র ও রাজ্যের জনবিরোধী নীতিগুলির বিষয়ে মানুষকে বলব।’’ দু’দলই একসময় বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গলমহল এলাকাকে নিয়ে স্বশাসিত পরিষদ গড়ার দাবিতে সরব হয়েছিল। তা নিয়ে কী ভাবছেন? চুনিবালা ও আদিত্য জানিয়ে দেন, ‘‘যৌথ ইস্তাহারে এ বিষয়ে জানাব’’ আদিত্য বলেন, ‘‘লড়াইটা কঠিন। তা সত্ত্বেও আমরা মাথানত করব না। ঝাড়খণ্ডী মানুষের আত্মমর্যাদা, আশা-আকাঙ্খাকে সামনে রেখেই আমরা নির্বাচনে লড়ব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE