প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্বসহায়ক দলকে পরিবেশবান্ধব ইট নির্মাণ যন্ত্র দিল প্রশাসন। সোমবার শালবনিতে এক অনুষ্ঠানে স্বসহায়ক দলের হাতে ইট নির্মাণ যন্ত্র তুলে দেওয়া হয়। ইট তৈরির প্রকল্পের মাধ্যমে স্বসহায়ক দলের সদস্যারা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে বলে আশা প্রশাসনের। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, “দলগুলো যাতে আরও ভাল কাজ করে সেই দিকে নজর রাখা হচ্ছে।” এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা, অতিরিক্ত জেলাশাসক সুশান্ত চক্রবর্তী প্রমুখ।
পশ্চিম মেদিনীপুরে অনেকগুলি স্বসহায়ক দল রয়েছে। দলগুলি নানা রকম কাজকর্ম করে। তবে ইট তৈরির পরিকল্পনা এই প্রথম। জেলা প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, গত বছর হায়দরাবাদে গিয়েছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক সুশান্ত চক্রবর্তী। তিনি ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ রুরাল ডেভেলপমেন্ট’ (এনআইআরডি)-এর ট্রেনিং সেন্টারে গিয়ে বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন করেন। পরিবেশবান্ধব ইট তৈরির প্রকল্পটিও তাঁর চোখে পড়ে।
সাবেক ইট তৈরিতে যে মাটি ব্যবহৃত হয় তা মূল্যবান। এই মাটি কৃষিকাজে ব্যবহৃত হয়। তবে পরিবেশ সহায়ক ওই ইট তৈরিতে যে মাটি ব্যবহৃত হয়, তা মূল্যবান নয়। কৃষিকাজেও ব্যবহৃত হয় না। জঙ্গলমহলের জেলা পশ্চিম মেদিনীপুরে অ-কৃষি জমির পরিমাণ কম নয়। বহু পরিত্যক্ত জমি রয়েছে। সব দিক খতিয়ে দেখেই ওই ইট তৈরির প্রকল্প জেলায় শুরু করার পরিকল্পনা হয়। হায়দরাবাদ থেকে ফিরে এসে জেলাশাসকের জগদীশপ্রসাদ মিনার সঙ্গে কথা বলেন সুশান্তবাবু। জেলাশাসক এই প্রকল্প নিয়ে এগোনোর সঙ্কেত দেন।
পরে জেলার দু’টি স্বসহায়ক দলকে প্রশিক্ষণের জন্য হায়দরাবাদে পাঠানো হয়। এরমধ্যে একটি শালবনি ব্লকের, অন্যটি গড়বেতা- ১ ব্লকের। সোমবার দু’টি দলকেই ইট নির্মাণ যন্ত্র দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, “পরিবেশ সহায়ক এই ইট তৈরিতে তিনটি কাঁচামাল লাগবে। মাটি, বালি ও সিমেন্ট। সাবেক ইট তৈরিতে মূল্যবান মাটি-বালির প্রয়োজন হয়। এ ক্ষেত্রে তা হবে না। সাধারণ মাটি-বালি হলেই হবে। শুধু সিমেন্টটা ভাল হতে হবে।” তাঁর কথায়, “যে কোনও এলাকায় এই প্রকল্প গড়ে তোলা যেতে পারে। এর জন্য বেশি জায়গারও প্রয়োজন নেই। চাইলে স্বসহায়ক দলগুলো এলাকার আশপাশেই এই প্রকল্প করতে পারে।” সাবেক ইটের থেকে এই ইট তিনগুণ বড়। তৈরি হবে মেশিনেই।
এ বিষয়ে গড়বেতার বিধায়ক আশিস চক্রবর্তী, শালবনির বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো বলেন, “আগামী দিনে বিকল্প কিছু করতেই হবে। সব কিছু ঠিকঠাক চললে পরিবেশ সহায়ক এই ইটের চাহিদা বাড়বে। ফলে, বাজার ধরতেও বিশেষ অসুবিধে হবে না। জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগ বেশ ভাল।” প্রশাসন মনে করছে, এই দু’টি দল সফল হলে আগামী দিনে অন্য স্বসহায়ক দলগুলোও ইট তৈরির প্রকল্প গড়তে এগিয়ে আসবে। গ্রামীণ অর্থনীতি বদলে যাবে। পাশাপাশি, দলগুলোও আর্থিক ভাবে স্বনির্ভর হবে।
ক্যারাটে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়াদের এ বার ক্যারাটে প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নিল প্রশাসন। রাষ্ট্রীয় মাধ্যমিক শিক্ষা অভিযান প্রকল্পে পূর্ব মেদিনীপুরের ছাত্রীদের আত্মরক্ষার কৌশল শেখাতেই এই উদ্যোগ বলে জানা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy