চলছে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র
টোটো চালকদের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে ভুগলেন আমজনতা।
স্থানীয় সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার দুপুরে তমলুক শহরের মানিকতলা মোড়ে টোটোর স্ট্যান্ড নিয়ন্ত্রণ নিয়ে চালকেরা হাতিহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। পরে তাঁরা ওই এলাকায় হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য এবং তমলুক- পাঁশকুড়া সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। দু’টি ব্যস্ত রাস্তায় বাস-সহ বিভিন্ন গাড়ি আটকে ব্যপক যানজট হয়। হায়রানির শিকার হন যাত্রীরা। পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে তমলুক থানার পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে আসে। পুলিশের হস্তক্ষেপেই অবরোধ ওঠে।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই এলাকায় টোটো চালকদের তৃণমূল প্রভাবিত দু’টি ইউনিয়ন রয়েছে। একটির নেতৃত্বে রয়েছেন তমলুক শহরের তৃণমূল সভাপতি তথা পূর্ব মেদিনীপুর ই-রিক্সা ইউনিয়নের যুগ্ম আহ্বায়ক দিব্যেন্দু রায়। অন্যটিতে রয়েছেন তমলুক শহর টোটো চালক ইউনিয়নের সভাপতি তথা পুরসভার কাউন্সিলর চঞ্চল খাঁড়া। অভিযোগ, চঞ্চল অনুগামী টোটো চালকরা এ দিন দিব্যেন্দু অনুগামী চালকদের টোটো দাঁড়াতে বাধা দেন। তা থেকেই ঝামেলার সূত্রপাত। পরে তা ধস্তাধস্তিতে গড়ায়। মারধরের অভিযোগ তুলে দিব্যেন্দু রায়ের অনুগামী টোটো চালকেরা সড়ক অবরোধ করা শুরু করেন।
খবর পেয়ে পুলিশের পাশাপাশি দিব্যেন্দু এবং চঞ্চল ঘটনাস্থলে আসেন। চঞ্চলের অভিযোগ, ‘‘তমলুক পুরসভার অনুমোদিত প্রায় ৫০০টি লাইসেন্স প্রাপ্ত টোটো শহরের রাস্তায় চলাচল করে। কিন্তু এর বাইরেও লাইসেন্স ছাড়া বেশ কিছু লোক টোটো চলানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এ নিয়ে আমাদের ইউনিয়নের চালকেরা এদিন আপত্তি জানিয়েছেন।’’ অন্য দিকে, দিব্যেন্দুর দাবি, ‘‘কোনও নির্দিষ্ট ইউনিয়নের সদস্য হলে শহরে টোটো চালাতে পারবে, বাকিরা পারবেন না, এটা ঠিক নয়। যে কোনও ইউনিয়নের সদস্য চালক শহরে যাত্রী তুলতে পারবেন।’’ পুলিশ জানিয়েছে, অবরোধ হয়েছিল। তবে অবরোধকারীদের বুঝিয়ে তা তুলে দেওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy