দুই-চিত্র: মেদিনীপুর ব্লক অফিসের সামনে তৃণমূলের পতাকা নিয়ে বাইক মিছিল। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল
মনোনয়নে অশান্তি ঝাড়গ্রাম জেলাতেও। কারও ফাটল মাথা। কারও মুখ। এমনকী, বিরোধীদের অভিযোগ, কোথাও কোথাও প্রার্থীর জাতিগত শংসাপত্রও কেড়ে নেওয়া হয়েছে। বিরোধীরা শাসক দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেও তারা তা মানতে নারাজ।
সোমবার সকালে জামবনির ব্লক-সদর গিধনি ব্লক অফিসের সামনে বিজেপির কর্মীদের গাড়ি ভাঙচুর ও কর্মীদের মারধর করে তৃণমূলের লোকজন তাড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ। দুপুরে জামবনি পঞ্চায়েতে সমিতির ২ নম্বর আসনে সিপিএম প্রার্থী লালচাঁদ মান্ডি ও তাঁর প্রস্তাবক দিলীপ দাস মনোনয়ন জমা দিয়ে ব্লক অফিসের বাইরে বেরোতেই আক্রান্ত হন। সিপিএমের অভিযোগ, পুলিশের সামনে তৃণমূলের লোকজন মারধর করেছে। লালচাঁদ বলেন, ‘‘মনোনয়ন জমা দিয়ে বেরিয়ে আসার সময় পুলিশের সামনে এলোপাথাড়ি মারধর শুরু করে। সমস্ত জিনিস, মোবাইল, ভোটার কার্ড, জাতিগত শংসাপত্র কেড়ে নেয়।’’ পরে লালচাঁদবাবু ও দিলীপবাবুকে ঝাড়গ্রাম স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়।
বিজেপির অভিযোগ, লালগড়ে তাদের লোকজন মনোনয়ন জমা দিয়ে যাওয়ার সময় তাঁদের উপর তৃণমূলের লোকজন লাঠি ও ধারাল অস্ত্র নিয়ে চড়াও হয়। গেরুয়া শিবিরের দাবি, লালগড়ে বাদল মাহাতো ও সনাতন মুর্মু নামে দুই কর্মীর মাথা ফেটে গিয়েছে। দিলীপ সিংহ ও ফটিক মাহাত নামে আরও দু’জন গুরুতর জখম। ঝাড়গ্রাম জেলা বিজেপির সভাপতি সুখময় শতপথী বলেন, ‘‘তৃণমূলের মারে আমরা কিছু জায়গায় মনোনয়ন জমা দিতে পারিনি। লালগড়ে তিনজন নিখোঁজ রয়েছে।’’ ঝাড়গ্রামে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি প্রতিটি ক্ষেত্রেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘বিরোধীরা প্রার্থী দিতে না পেরে নিজেরা গোলমাল করছে। আর আমাদের নামে অভিযোগ করছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy