Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus

কালোবাজারি হলেই শাস্তি

জেলায় পর্যাপ্ত খাদ্যদ্রব্য মজুত আছে। ফলে অহেতুক আতঙ্কিত হয়ে কেউ সমস্যা তৈরি করবেন না। বিভু গোয়েল জেলাশাসকস্বভাবত প্রশাসন ও পুলিশ যথেষ্ট চাপে। তবে সরকার জানিয়ে দিয়েছে, লক ডাউনের সময়ও জরুরি প্রয়োজনের জিনিসের দোকান খোলা থাকবে।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

সুস্মিত হালদার 
কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২০ ০৫:২৮
Share: Save:

জনতার কার্ফু শেষ হতে না হতেই জেলা জুড়ে আপাতত ২৭ তারিখ রাত ১২টা পর্যন্ত ‘লক ডাউন’ ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার।

এইরকম একটা কিছু হতে চলেছে আশঙ্কায় গত কয়েক দিন অনেকেই খাবার বিশেষ করে চাল, আলু, মুড়ি, ডিম মজুত করা শুরু করেছিলেন। এ বার সরকারি ঘোষণা হয়ে যেতে মুদির দোকান ও বাজারে আজ সকাল থেকে ভিড় কার্যত ভেঙে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ, লক ডাউন শুরু হবে আজ বেলা চারটে থেকে। চারটে পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা সামলে মানুষকে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার সুযোগ করে দেওয়া এখন প্রশাসনের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। রবিবার জনতার কার্ফুতে যে ভাইরাসের বিরুদ্ধে যে ‘ব্রেক দ্যা চেন’ সফল হয়েছিল সেটা দোকানে-বাজারে মানুষের হুড়োহুড়িতে যাতে কোনও ভাবে ব্যর্থ না হয় সেটাও প্রশাসনকে দেখতে হবে। একই সঙ্গে রুখতে হবে অসাধু ব্যবসায়ীদের কালোবাজারিও।

স্বভাবত প্রশাসন ও পুলিশ যথেষ্ট চাপে। তবে সরকার জানিয়ে দিয়েছে, লক ডাউনের সময়ও জরুরি প্রয়োজনের জিনিসের দোকান খোলা থাকবে। ফলে খাবারের অভাব হওয়ার আশঙ্কা নেই। কিন্তু মানুষ তাতে খুব একটা আস্বস্ত হতে পারছে না। কৃষ্ণনগর শহরের বাসিন্দা পঙ্কজ কুণ্ডু যেমন বলছেন, “কোনও ঝুঁকি নেব না। না খেয়ে তো থাকা যাবে না। আজ যে ভাবে হোক বাজার থেকে প্রয়োজনের জিনিস কিনতেই হবে।” একই কথা বলছেন সুজয় মিত্র। তাঁর কথায়, “সবাই এক সঙ্গে বাজারে গেলে ভিড় হবে জানি। এই পরিস্থিতিতে সেটা খুবই ঝুঁকির। কিন্তু না-গিয়েও তো কিছু করার নেই। তার পর যদি খাদ্য সামগ্রী পাওয়া না যায়? যদি জিনিসের দাম অস্বাভাবিক

বেড়ে যায়?”

মানুষের এই মনোভাবের সুযোগে কালোবাজারি যাতে শুরু না-হয় বা খাবারের কোনও কৃত্রিম সঙ্কট যাতে না-হয় তার জন্য প্রশাসনের তরফে কড়া পদক্ষেপ করার সিন্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ধরা পড়লে সেই ব্যবসায়ীর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা শাসক বিভু গোয়েল। ‘নদিয়া ডিস্ট্রিক্ট চেম্বার অফ কমার্স’- এর যুগ্ম সম্পাদক গোকুল সাহা বলছেন, “জিনিসের দাম কোনও ভাবেই বেশি নেওয়া যাবে না। কেউ যদি সেটা করেন তা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

আজ সকাল থেকে বিভিন্ন বাজারে পুলিশকর্মীরা টহল দেওয়ার পাশাপাশি প্রশাসনের নজরদারি চলবে। জেলাশাসক বিভু গোয়েল বলেছেন, “জেলায় পর্যাপ্ত খাদ্যদ্রব্য মজুত আছে। ফলে অহেতুক আতঙ্কিত হয়ে কেউ সমস্যা তৈরি করবেন না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE