কংগ্রেসের আদি গড়ে এসে বিজেপি’র গেরুয়া বসনধারী খাস গো-বলয়ের মুখ্যমন্ত্রী কী বলেন, তা নিয়ে চাপা একটা আগ্রহ ছিল দিন কয়েক ধরেই।
শনিবার, বহরমপুরের এফইউসি ময়দানে, ঠাঠা রোদে মাঠ না ভরলেও যোগী আদিত্যনাথের মিনিট পঁচিশের বক্তব্যে বিতর্কের আঁচ অবশ্য উস্কে উঠল। তৃণমূল এবং বামেদের তুলোধোনা করলেও এ দিন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী নিয়ে যোগী খরচ করেছেন নাম মাত্র একটি বাক্য— পঞ্চম বারের জন্য লোকসভা নির্বাচনে লড়ছেন স্থানীয় কংগ্রেস সাংসদ। কিন্তু তাঁর এলাকায় কাজ হয়েছে কি!’’
সামান্য এই সমালোচনার সূত্র ধরে তৃণমূল ফের টেনে এনেছে কংগ্রেস তথা অধীরের আরএসএস যোগের কথা। মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল সভাপতি সুব্রত সাহা যেমন বলছেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কবে থেকেই বলছেন, এ জেলার দু’জন কংগ্রেস প্রার্থীর হয়ে প্রচার করে আরএসএস। এ দিন যোগীর নামমাত্র সমালোচনা তারই প্রমাণ। সমঝোতা যে হয়ে গেছে তা ফের স্পষ্ট উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর ঝাঁঝহীন বক্তব্যে।’’
সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুর্শিদাবাদে দু’দফায় পাঁচটি জনসভা করে গিয়েছেন। প্রতিটি সভায় কংগ্রেসের সঙ্গে সিপিএম-বিজেপির যোগের অভিযোগ তুলেছেন। এমনকি আরএসএস বহরমপুরের কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরীর হয়ে প্রচার করছে বলে অভিযোগ তুলেছেন। রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী তথা মুর্শিদাবাদের তৃণমূলের পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারীও বিভিন্ন সভায় কংগ্রেসের সঙ্গে বিজেপি যোগের কথা বলছেন।
এ ব্যাপারে চেষ্টা করেও অধীরের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে বহরমপুরের কংগ্রেস বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘জেলার তিনটি আসনে পরাজয় নিশ্চিত জেনে তৃণমূল এখন নোংরা রাজনীতি শুরু করেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy