Advertisement
১০ মে ২০২৪

যুবকের পেট থেকে ১২ সেমি পেরেক উদ্ধার

হাসপাতাল জানা গিয়েছে, শহরের মঙ্গলপুর ভিডিও হল পাড়ার বাসিন্দা হতদরিদ্র ওই যুবক তরুণকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় গত ১২ নভেম্বর রাতে বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। দেরি না করে সেই রাতেই তরুণের পেটে অস্ত্রোপচার করেন হাসপাতালের শল্য বিশেষজ্ঞ অভিজিৎ বক্সি।

সুস্থ: সফল অস্ত্রোপচারের পরে হাসপাতালে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে আছেন ওই যুবক। নিজস্ব চিত্র

সুস্থ: সফল অস্ত্রোপচারের পরে হাসপাতালে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে আছেন ওই যুবক। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বালুরঘাট শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০১৮ ০৩:০২
Share: Save:

পেরেক খেয়ে ফেলেছিলেন বছর আঠাশের এক যুবক। দিন দশেক আগের ঘটনা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। সেই রাতেই অস্ত্রোপচার করে তাঁর পেট থেকে দশ-বারো সেন্টিমিটার লম্বা পেরেক বের করেন চিকিৎসক। খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, আট মাস আগেও একবার পেরেক খেয়ে ফেলেছিলেন মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণ রবিদাস। সেবার মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচার হয়েছিল তাঁর। বারবার পেরেক খেয়ে ফেলার ঘটনায় উদ্বিগ্ন পরিবার।

হাসপাতাল জানা গিয়েছে, শহরের মঙ্গলপুর ভিডিও হল পাড়ার বাসিন্দা হতদরিদ্র ওই যুবক তরুণকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় গত ১২ নভেম্বর রাতে বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। দেরি না করে সেই রাতেই তরুণের পেটে অস্ত্রোপচার করেন হাসপাতালের শল্য বিশেষজ্ঞ অভিজিৎ বক্সি। দু’ঘণ্টার প্রচেষ্টায় রাত ১টা নাগাদ সফল ভাবে অস্ত্রোপচার করে ওই যুবকের পেট থেকে বড় আকারের ওই পেরেকটি বের করা হয়। অভিজিৎবাবুর সঙ্গে ওই অস্ত্রোপচারে সহায়তা করেন চিকিৎসক দেবজিৎ দাস এবংশীর্ষাণু সাহা।

ছেলে তরুণকে নিয়ে তার স্বামীহীনা মা ফাল্গুনীদেবী ভিক্ষাবৃত্তি করে কোনওরকমে দিন কাটান। ওই মহিলার কথায়, ‘‘এর আগে পেরেক খেয়ে ফেলায় প্রতিবেশীদের সাহায্যে ছেলেকে মালদহে নিয়ে গিয়ে অপারেশন করে সুস্থ করা হয়। এবার সেই সামর্থ্য ছিল না। বালুরঘাট হাসপাতালের চিকিৎসকের জন্য ছেলের প্রাণ আবার ফিরে পেলাম।’’

শল্য বিশেষজ্ঞ অভিজিৎবাবু বলেন, ‘‘মাত্র আট মাসের ব্যবধানে একই জায়গায় দু’বার অস্ত্রোপচারের ঝুঁকি ছিল। তা ছাড়া ১০-১২ সেন্টিমিটার লম্বা ওই পেরেকটি ক্ষুদ্রান্ত্রে চলে গিয়েছিল। পেরেকে পেট ফুটো হওয়ার আগে তাই দেরি না করে দ্রুত অস্ত্রোপচার করা হয়।’’ বর্তমানে ওই যুবক সুস্থ হয়ে উঠছেন। এক দু’দিনের মধ্যে তাঁকে ছুটি দেওয়া হবে বলে চিকিৎসক জানান।

বালুরঘাট হাসপাতালের চিকিৎসকদের পর পর সাফল্যে খুশি বাসিন্দারা। চার মাস আগে বাইক দুর্ঘটনায় যকৃত ফেটে গুরুতর জখম বালুরঘাটের খিদিরপুর এলাকার যুবক অভিজিৎ হালদারের প্রাণ সংশয় হয়ে উঠেছিল। ঝুঁকি নিয়ে এই অভিজিৎ বক্সিই অস্ত্রোপচার করে ওই রোগীকে সুস্থ করে তোলেন। এর পর পুজোর আগে তপন ব্লকে সাপে কাটা মরণাপন্ন এক শিশুকে বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে শ্বাসপ্রশ্বাস চালু রেখে অ্যান্টি-ভেনম দিয়ে বাঁচিয়ে তোলেন এই হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ সমীরণ পুরকাইত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Nail Abdomen Youth
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE