—ফাইল চিত্র
মুখ্যমন্ত্রীর সফরে কিছুটা হলেও অক্সিজেন পেয়েছে তৃণমূল। সেটা খেয়াল রেখে সংগঠনের শক্তি বাড়াতে মাঠে নামছে বিজেপিও। দলীয় সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহেই একাধিক কর্মসূচি নেবেন বিজেপি নেতৃত্ব।
কোচবিহার জেলা বিজেপির একটি অংশ মনে করছে, এই সময় জোরকদমে মাঠে না নামতে পারলে তৃণমূল সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করবে। কিন্তু বিজেপির মণ্ডল সভাপতির নাম এখনও ঘোষণা না হওয়ায় কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে দল। বিজেপির জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা বলেন, “সাংগঠনিক নির্বাচন প্রক্রিয়া চলতে থাকায় সেভাবে এখনও কর্মসূচি নেওয়া যায়নি। আগামী সপ্তাহ থেকে একাধিক কর্মসূচি নেওয়া হবে।” তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “মানুষ এখন বিজেপির বিরুদ্ধে। তাই বিজেপির সংগঠন আর বাড়বে না।”
গত লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহার আসন তৃণমূলের হাত থেকে ছিনিয়ে নেয় বিজেপি। তার পর থেকেই জেলায় তৃণমূলের সংগঠনে ধস নামে। একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি হাতছাড়া হয় তৃণমূলের। সাড়ে তিন মাসের মাথায় অবশ্য তৃণমূল নিজেদের কিছুটা গুছিয়ে নিয়ে ফের ময়দানে নামে। ফের বিজেপি’র হাতে চলে যাওয়া অধিকাংশ গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি উদ্ধার করে তারা। কিন্ত তারপরেও বহু এলাকায় বিজেপি’র সঙ্গে টেক্কা দিতে পারছে না তৃণমূল। এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোচবিহারে এসে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উৎসাহ জোগানোর চেষ্টা করলেন। বিজেপির বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলনে নামার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ওই নির্দেশের পরে বিধায়ক থেকে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন দলীয় সূত্রেই দাবি।দলেরই এক নেতার কথায়, “সংগঠনের শক্তি না বাড়াতে পারলে আগামিদিন আরও কঠিন হবে।”
ওই একই ভাবনা ঘুরপাক খাচ্ছে বিজেপির মধ্যেও। দলীয় সূত্রের খবর, গত ১৬ নভেম্বর রাজ্য কমিটির বৈঠকে দলের মণ্ডল সভাপতির নাম চূড়ান্ত করার কথা ছিল বিজেপির। কিন্তু ওইদিন তা করা যায়নি। দলের একটি অংশ মনে করছে, মণ্ডল সভাপতি একাধিক নতুন মুখ উঠে আসবে। সেক্ষেত্রে নতুন করে দলের মধ্যে কোন্দল দেখা দিতে পারে। তাতে লাভ হবে তৃণমূলের।
দল অবশ্য জানিয়েছে, উপনির্বাচনের কারণেই ওই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি। এই অবস্থায় অন্তত কোচবিহারে আর কেউ চুপ করে বসে থাকতে চাইছে না। তাই আগামী সপ্তাহ থেকে কর্মসূচি নেবে তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy