খুশি: বিমানের সামনে তাঁরা। নিজস্ব চিত্র
ভুটানের পারো থেকে বাগডোগরার উদ্দেশে উড়েছে বিমানটি। ক্যাপ্টেন স্বাগত জানালেন যাত্রীদের। পরিচয় দিয়ে জানালেন, তিনি মহিলা। তার পর একে একে বিমান সেবক থেকে সিনিয়র ফার্স্ট অফিসার বা ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়র, সকলেই উপস্থিত হলেন। জানিয়ে দিলেন, এই উড়ানের সকলেই মহিলা।
শুক্রবার আন্তজার্তিক নারী দিবসে পারো থেকে বাগডোগরা হয়ে ব্যাঙ্কক গেলে এমনই একটি বেসরকারি সংস্থার বিমান, যার যাবতীয় দায়িত্ব ছিল মহিলাদের হাতে। নারী দিবসে বিমানসংস্থাটির এমন ব্যবস্থায় খুশি এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার (এএআই) কর্তৃপক্ষও।
বিমানবন্দর সূত্রের খবর, রয়্যাল ভুটান এয়ারলাইন্সের (ড্রুক-এয়ার) বিমান সপ্তাহে চার দিন পারো থেকে বাগডোগরা হয়ে ব্যাঙ্কক যায়। এ দিন এয়ারবাস-৩১৯ বিমানটিতে (কেবি১৩০) ৮৯ জন যাত্রী ছিলেন। বিমান সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বিমানের যাবতীয় দায়িত্ব মহিলাদের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ক্যাপ্টেন, ফার্স্ট অফিসার, ইঞ্জিনিয়র, কেবিন ক্রু, পুশব্যাক টিম, চেকইন, ক্যাটারিং থেকে গ্রাউন্ড স্টাফ— সকলেই মহিলা।
এদিন বিমানটির উড়ানের দায়িত্বে ছিলেন ক্যাপ্টেন উগেন ডেমা। তিনি ২০০৬ সাল থেকে ড্রুক এয়ারের সঙ্গে রয়েছেন। তাঁকে সাহায্যের জন্য ছিলেন সিনিয়র ফার্স্ট অফিসার সোনাম লহমো এবং ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়র সোনাম ডেকি শেরিং ছিলেন। সোনাম ডেকি ভুটানের একমাত্র লাইসেন্সপ্রাপ্ত এয়ারক্রাফ্ট ইঞ্জিনিয়র। বিমানবন্দরের অফিসারেরা জানান, বৃহস্পতিবার থেকে খবর ছিল, বিমানটির ককপিটের দায়িত্বে আছেন তিন মহিলা।
এয়ারলাইন্সটির তরফে উড়ানের সময় মহিলা যাত্রীদের জন্য একটি লাকি ড্রয়ের ব্যবস্থাও করা হয়। মহিলা যাত্রীদের একটি করে কুপন স্ক্র্যাচ করতে দেওয়া হয়। এএআই-র উত্তর পূর্বাঞ্চলের এক কর্তা জানান, ভুটানের এই উড়ান বিমান পরিবহণে মেয়েদের যোগদানে বাড়তি উৎসাহ জোগাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy