Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

টাকা ফেরতের ভয়েই কি বহু নেতা ‘উধাও’

বিজেপির কোচবিহার জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা বলেন, “তৃণমূল নেত্রী কাটমানি ফেরত দিতে বলেছেন। তৃণমূলের নেতা দেখলেই গ্রামের মানুষ কাটমানি ফেরত চাইছেন। তাই কাউকে গ্রামে দেখা যাচ্ছে না।” 

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০১৯ ০১:৫০
Share: Save:

কাটমানি ফেরতের ভয়েই এলাকা ছাড়ছেন তৃণমূল নেতারা—এমনই দাবি করছে বিজেপি। তৃণমূল সূত্রেও খবর, কোচবিহারে ভোটের পর থেকে অন্তত পক্ষে ৫০০ জনের বেশি তৃণমূল নেতা-কর্মী ঘরছাড়া হয়ে রয়েছেন। এমনকি সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশ বসুনিয়া নিজেও ঘরছাড়া হয়ে রয়েছেন। শুধু তাই নয়, কোনও গ্রামেই তৃণমূল নেতাদের চোখে পড়ছে না কারও। জেলা নেতাদেরও কোনও কর্মসূচি নেই বললেই চলে। বাড়িতে বসেই দলের কাজ সারছেন নেতাদের বড় অংশ। কেন নেতারা গ্রামে যাচ্ছেন না, সেই প্রশ্ন উঠছে সর্বত্র। তৃণমূল বিজেপির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলছে।

বিজেপির কোচবিহার জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা বলেন, “তৃণমূল নেত্রী কাটমানি ফেরত দিতে বলেছেন। তৃণমূলের নেতা দেখলেই গ্রামের মানুষ কাটমানি ফেরত চাইছেন। তাই কাউকে গ্রামে দেখা যাচ্ছে না।”

ওই অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়। তাঁর দাবি, দলীয় নেতৃত্ব সব জায়গায় মিটিং করছে। তিনি বলেন, “সংসদীয় ভোটে জিতে বেশ কিছু এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করেছে বিজেপি। তার মধ্যে সিতাই একটি। কেউ গন্ডগোল চাইছেন না বলে সরে আছেন। তার মানে এই নয় যে, গ্রামে যেতে ভয় পাচ্ছেন কেউ। মানুষ সময় মতো জবাব দেবেন।” কাটমানি প্রসঙ্গে তৃণমুলের দাবি, দুর্নীতির সঙ্গে যারা জড়িত তাঁদের জায়গা তৃণমূলে নেই। দল ব্যবস্থা নিচ্ছে বলেই অনেকে বিজেপিতে যাচ্ছেন।

সাংসদ ভোটে কোচবিহারে ৫৪ হাজারের বেশি ভোটে তৃণমূল প্রার্থী পরেশ অধিকারীকে পরাজিত করেন বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক। তার পর তৃণমূল কর্মীদের উপরে একের পর এক হামলার অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। সিতাইয়ে এক দিনে ২০টির উপরে তৃণমূল নেতার বাড়ি হামলার অভিযোগ ওঠে। সম্প্রতি বিধায়কের বাড়িতেও হামলার অভিযোগ ওঠে। জেলার প্রায় সব এলাকাতেই তৃণমূল কর্মীদের উপরে হামলার অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। দিন কয়েক আগে কলকাতায় কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠকে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাটমানি নিয়ে দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সরব হন। কাটমানি ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। অভিযোগ, তার পরেও তৃণমুলের অনেক নেতা-কর্মী এলাকা ছেড়ে দেয়। শনিবার শহর সংলগ্ন হরিণচওড়ায় তৃণমূলের এক প্রাক্তন প্রধান তথা পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতে হামলার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, একটি পার্টি অফিস ভাঙচুর হয়। দিন তিনেক আগে পুন্ডিবাড়িতে তৃণমমূলের এক ব্লক নেতার উপরেও হামলার অভিযোগ ওঠে। কোথাও কোনও তৃণমূল নেতার দেখা মেলেনি বলে অভিযোগ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Cooch Behar Bribe
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE