Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

ভাওয়াইয়ার আসর নিয়ে টক্করে ‘কাকা-ভাইপো’

এবার ‘কাকা-ভাইপো’র লড়াই সাংস্কৃতিক মঞ্চেও।

প্রচার: সাংসদের নামে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রচার। নিজস্ব চিত্র

প্রচার: সাংসদের নামে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রচার। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৪:৫২
Share: Save:

এবার ‘কাকা-ভাইপো’র লড়াই সাংস্কৃতিক মঞ্চেও।

নয় বছর ধরে ‘নায়েব আলি টেপু স্মরণ সমিতি’র নামে ভাওয়াইয়া গানের আসর বসছে কোচবিহারে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী তথা তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ওই সমিতির মাথায় রয়েছেন শুরু থেকেই। দেড় বছর আগেও ওই সমিতির অনুষ্ঠান দেখভাল করতেন সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়। এবারে পার্থবাবুই ‘আব্বাস-নায়েব আল-প্যারীমোহন লোকসংস্কৃতি সংস্থা’ গড়ে, আলাদাভাবে ভাওয়াইয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে চলেছেন। দলীয় রাজনীতিতে রবীন্দ্রনাথবাবুকে ‘কাকা’ বলেই ডাকেন পার্থবাবু। যদিও রবীন্দ্রনাথবাবু ওই ‘কাকা’ ডাক শুনতে চান না বলেই বহু আগেই জানিয়েছিলেন।

রবীন্দ্রনাথবাবু আলাদা অনুষ্ঠান নিয়ে কিছু বলতে চান না। পার্থবাবু বললেন, “এখানে লড়াইয়ের কোনও বিষয় নেই। ভাওয়াইয়া তথা এই ধরনের অনুষ্ঠান যত বেশি হবে, লোকশিল্পের প্রসার ততই বেশি হবে। সে লক্ষ্যেই এগিয়ে যাওয়া।” পার্থবাবু এমনটা দাবি করলেও, দলের মধ্যেই ওই দু’টি অনুষ্ঠান নিয়ে গুঞ্জন রয়েছে। পার্থবাবুর অনুগামীদের অভিযোগ, এক সময় নায়েব আলি টেপু স্মরণ সমিতির সমস্ত অনুষ্ঠান পরিচালনা করতেন পার্থবাবু। তাঁকে সেই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। সাংসদ এমন অনুষ্ঠানের সঙ্গে জড়িয়ে থাকতে চান বলেই নতুন করে অনুষ্ঠান করছেন। রবীন্দ্রনাথবাবুর অনুগামীদের অবশ্য পাল্টা অভিযোগ, সাংসদ হওয়ার পর থেকেই রবীন্দ্রনাথবাবুর সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়ে চলেছেন পার্থবাবু। তিনি নিজেই সবকিছুর মাথায় থাকতে চান। তাই আলাদা ভাবে অনুষ্ঠান করছেন।

এবারে রবীন্দ্রনাথবাবুর উদ্যোগে নায়েব আলি টেপুর স্মরণ সমিতির অনুষ্ঠান শুরু হবে ২৬ ডিসেম্বর থেকে। বলরামপুর হাইস্কুলের মাঠে তিনদিন ধরে ওই অনুষ্ঠান চলবে। অনুষ্ঠানে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে বাংলাদেশ ও অসমের শিল্পীরাও যোগ দেবেন। বাংলাদেশের শিল্পী শ্যামল পাল, বিভূতিভূষণ বর্মণ, অসমের হিমাদ্রি দেউরি, হামিদা সরকার-সহ একাধিক শিল্পী হাজির থাকবেন। পাল্টা, পার্থবাবুর অনুষ্ঠান শুরু হবে ২২ ডিসেম্বর থেকে। তিনদিন ধরে সেই অনুষ্ঠান চলবে চিলকিরহাট হাইস্কুলের মাঠে। ওই অনুষ্ঠানেও বাংলাদেশের বিভূতিভূষণ বর্মা, পারুল রায়, দোয়েল রাজা, অসমের রহিমা কলিতা-সহ একাধিক শিল্পী থাকবেন।

দুই পক্ষই অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিয়ে জোরকদমে কাজ শুরু করেছেন। নানা জায়গায় তোরণ তৈরি করা হয়েছে। নায়ের আলি টেপু স্মরণ সমিতির সম্পাদকের দায়িত্বে থাকা জ্যোতির্ময় রায় বলেন, “অন্য অনুষ্ঠান নিয়ে কিছু বলতে চাই না। তবে মানুষ উপভোগ করুক, এটাই চাই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE