Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus

লকডাউনে বিভ্রান্তি, পথে-হাটে চেনা ভিড়

ইংরেজবাজার জুড়েই কার্যত একই ছবি। যেন স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছে মহানন্দা নদীর ওপারের শহর পুরাতন মালদহও। দোকান-বাজার, রাস্তাঘাট সর্বত্রই চেনা ভিড় দেখে হতবাক স্বাস্থ্য দফতর থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের একাংশ।

ঘোষণা: লকডাউনের প্রচার মাইকে। রায়গঞ্জে। নিজস্ব চিত্র

ঘোষণা: লকডাউনের প্রচার মাইকে। রায়গঞ্জে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
মালদহ শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২০ ০৩:৩২
Share: Save:

বুধবার দুপুর দেড়টা। ইংরেজবাজার শহরের ফোয়ারা মোড়ে মোটর বাইক, টোটো, ই-রিকশা আটকাতে হিমশিম খাচ্ছেন কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ কর্মীরা। রাস্তায় ভিড়ের মতো মুদি, আনাজ, কাপড়, জুতোর দোকানের ঝাঁপ খোলা রয়েছে ফোয়ারা মোড় সংলগ্ন চিত্তরঞ্জন পুরবাজারে। ট্রাফিক পুলিশের এক কর্মী বলেন, “মানুষের আনাগোনা দেখে মনে হচ্ছে শহর করোনা মুক্ত হয়ে গিয়েছে। বাইরে বেড়িয়ে গিয়েছেন বহু মানুষ। দ্বিতীয় দফার লকডাউনেও ভিড় সামাল দিতে গিয়ে ঘাম ছুটছে।”

ইংরেজবাজার জুড়েই কার্যত একই ছবি। যেন স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছে মহানন্দা নদীর ওপারের শহর পুরাতন মালদহও। দোকান-বাজার, রাস্তাঘাট সর্বত্রই চেনা ভিড় দেখে হতবাক স্বাস্থ্য দফতর থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের একাংশ। দুই শতাধিক সংক্রমণ হয়েছে শহর গুলিতে। মঙ্গলবার রাতে একদিনেই জেলায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯৪ জন। অথচ, রাস্তাঘাটে চেনা ভিড় আটকানো যাচ্ছে না। আর সংক্রমণ রুখতে হলে অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

লকডাউন চললেও কেন ঢিলে ঢালা পুলিশ প্রশাসন, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। সাধারণ মানুষের দাবি, নয়া লকডাউন নিয়ে দুই শহরেই বিভ্রান্তি হওয়ায় এ দিন সকাল থেকেই রাস্তায় বহু মানুষ। সংক্রমণ বাড়তে শুরু করায় ইংরেজবাজার ও পুরাতন মালদহ-এই দুই শহরেই সাতদিন আগে থেকেই নয়া লকডাউন শুরু করে প্রশাসন। সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত আনাজ, মাছ এবং দুপুর ২টার পর দোকান-বাজার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সেই লকডাউনের মেয়াদ শেষ হয়েছিল মঙ্গলবারই। মালদহের ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক জয়ন্ত কুন্ডু বলেন, “লকডাউনের মেয়াদ বাড়ছে কিনা তা রাত পর্যন্ত আমাদের প্রশাসনের তরফে কিছু জানানো হয় নি। ফলে ব্যবসায়ীদের মধ্যে হইচই শুরু হয়ে গিয়েছিল। প্রশাসন না জানানোয় এদিন আমরা বেলা ৩টে পর্যন্ত দোকান-বাজার খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।”

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিকেলের পর রাজ্য থেকে লকডাউনের নির্দেশিকা আসে। তার পরেই লকডাউন নিয়ে দুই শহরে মাইকিং করে প্রচার চালানো হয়। ইংরেজবাজার শহরে রাত ১২টা নাগাদ মাইকিং করে প্রচার করেন খোদ আইসি মদনমোহন রায়। সাধারণ মানুষের দাবি, গভীর রাতে মাইকিং হওয়ায় অনেকেই ঘোষণা শুনতে পাননি। ফলে লকডাউনেও স্বাভাবিক হতে শুরু করেছিল শহর। পুলিশ জানিয়েছে, শহরে শতাধিক টোটো, ই-রিকশা আটক করা হয়েছে। লকডাউন নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় নাকা চেকিংও চলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health Coronavirus Lockdown
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE