ফাইল চিত্র।
দার্জিলিঙে গিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করতে চান কোচবিহারের বিজেপি নেতারা। দলের তরফে অবশ্য বলা হয়েছে, তাঁদের রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছে রয়েছে। বৈঠক করে ওই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন তাঁরা। বিজেপির কোচবিহার জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা বলেন, “জেলা জুড়ে বিজেপি কর্মীদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে তৃণমূল। এর ছাড়াও একের পর এক ধর্ষণের ঘটনাও সামনে এসেছে। সে কথা জানাতে চাই রাজ্যপালকে।” তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “রাজ্যপাল একটি সম্মানজনক পদ। কিন্তু সেই জায়গা নষ্ট করা হচ্ছে। এমন দায়িত্বে থেকে রাজনীতি না করাই উচিত বলে মনে করছি আমরা। আর বিজেপি যে অভিযোগ করছে, সে সব ভিত্তিহীন।”
প্রশাসন সূত্রের খবর, মাসখানেকের জন্য দার্জিলিঙে এসে থাকবেন রাজ্যপাল। তা নিয়ে দিন কয়েক ধরেই রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে। এ বারের লোকসভা ভোটে উত্তরবঙ্গে সাতটি আসন পেয়েছে বিজেপি, তৃণমূল শূন্য। এমন পরিস্থিতিতে উত্তরবঙ্গের হাওয়া ঘোরাতে মরিয়া তৃণমূল। একাধিক জেলায় দলের নেতৃত্বে বদল আনা হয়েছে। পুরনো নেতাদের সরিয়ে আনা হয়েছে নতুন মুখ। এরই মধ্যে বিমল গুরুং দীর্ঘদিন পর কলকাতায় উদয় হয়ে তৃণমূলকে সমর্থনের কথা জানান। গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের নেতা অনন্ত রায় (মহারাজ) দিল্লি গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেছেন। বিজেপি চাইছে, আসন্ন বিধানসভা ভোটে উত্তরবঙ্গ থেকে বেশি আসন ঘরে তুলতে।
এই অবস্থায় রাজ্যপালের এক মাসের সফর। কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকও রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। বিজেপির অবশ্য দাবি, ‘‘তৃণমূল রাজ্য জুড়ে যে অপশাসন চালাচ্ছে, তা ঢাকতেই তারা রাজ্যপালের সমালোচনা করছে।’’ তৃণমূলের পাল্টা দাবি, ‘‘রাজ্যপালের পদ থেকে রাজনীতি না করাই ভাল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy