অরক্ষিত: স্বাস্থ্যপরীক্ষা ছাড়াই নাগর নদীর সাঁকো পেরিয়ে এ রাজ্যে সফর। সোমবার বাহিনে বিহার-বাংলা সীমানায়। নিজস্ব চিত্র
দু’রাজ্যের সীমানায় বয়ে গিয়েছে নাগর নদী। সেই নদীর উপরে ৪০ ফুট লম্বা ও ৪ ফুট চওড়া বাঁশের সাঁকো। তা দিয়ে বিহারের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা নানা কাজে এ রাজ্যে আসেন।
বিহারের আবাদপুর থানার শিকারপুরের চাষি আব্দুল হান্নান। সোমবার দুপুরে রায়গঞ্জ ব্লকের বাহিন গ্রাম পঞ্চায়েতের বাহিনঘাট এলাকার বাংলা-বিহার সীমানায় সেই সাঁকো দিয়ে বাহিনে আসেন তিনি। বিকেলে ওই পথেই বিহারে ফেরেন। আব্দুলের কথায়, ‘‘শুনেছিলাম পশ্চিমবঙ্গে ঢোকার সময়ে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হচ্ছে। কিন্তু তেমন তো কিছু এ দিন চোখে পড়ল না।’’
বিহারের বারসই থানার কাসুয়াটুলির কলেজছাত্র আসিফ আলি। এ দিন দুপুরে তিনিও ওই সাঁকো পেরিয়ে রায়গঞ্জের সুভাষগঞ্জের এক আত্মীয়ের বাড়িতে যান। তাঁর কথায়, ‘‘আসা-যাওয়ার পথে স্বাস্থ্যপরীক্ষা তো হল না।’’
করোনাভাইরাস রুখতে উত্তর দিনাজপুর জেলার ১৩টি এলাকার বাংলা-বিহার সীমানায় আন্তঃরাজ্য ‘নাকা চেকিং পয়েন্ট’ চালু করা হয়েছে— রবিবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তা জানিয়েছিল জেলা স্বাস্থ্য দফতর। ওই তালিকায় রায়গঞ্জ শহর থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার দূরে বাহিনঘাট এলাকার বাংলা-বিহার সীমানা এলাকাও রয়েছে।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছিল, করোনাভাইরাস রুখতে বাংলা-বিহার সীমানা এলাকার প্রতিটি নাকা চেকিং পয়েন্টে স্বাস্থ্যপরীক্ষা শিবির চালু করা হয়েছে। প্রতিটি শিবিরে এক জন করে আশাকর্মী, দু’জন নার্স ও এক জন চিকিৎসককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁরা বিহার থেকে এ রাজ্যে আসা বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করবেন। কারও সাধারণ জ্বর, হাঁচি, কাশি, মাথাব্যথার মতো উপসর্গ থাকলে ওই শিবিরে প্রাথমিক চিকিৎসা করা হবে। এর পর তাঁদের বিহারের সরকারি কোনও হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিয়ে এ রাজ্যে না ঢোকার অনুরোধ করা হবে।
উত্তর দিনাজপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধানের দাবি, বাহিনঘাট এলাকায় নাকা চেকিং পয়েন্টে বিহারের বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা শিবির চালু থাকার কথা। কেনও এখনও পর্যন্ত তা চালু হয়নি, তা খোঁজ নিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy